ঢাকা: বিজয় দিবসের পরদিন থেকেই বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

রোববার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর এক যৌথসভায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আমরা অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। ধৈর্যের বাঁধ শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। বিজয় দিবসের পরদিন থেকে যেখানে আঘাত সেখানেই পাল্টা আঘাত করা হবে।

তিনি বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন, নৈরাজ্য-নাশকতা-হামলা বন্ধ করুন। অন্যথায় স্বাধীনতাকামী মানুষদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠন নিয়ে এর দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

বিজয়ের মাসেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই মন্তব্য করে হানিফ বলেন, তারা কাদের মোল্লার রায় কার্যকর করার পর সারাদেশে উস্কানি দিয়েছিল। যদি আমরা প্রতিরোধ করি তাহলে সারা দেশে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়বে। হানাহানি শুরু হবে। দেশটা অকার্যকর দেশে পরিণত হবে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে তাদের দমন করেছে। এখন সময় এসেছে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার।

আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূরের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, গতকাল নেত্রী স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, আমাদের কি করতে হবে। পরিষ্কার করে সারা দেশের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিতে চাই, সারাদেশে শুধু প্রতিরোধ নয় প্রতিশোধ নিতে হবে। আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আগামীকাল বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিজয় র‌্যালি বের হয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেষ হবে।

আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরে ঘাতকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। এবার করছি সেই পরাজিত শক্তিরই দোসরদের সঙ্গে।

তিনি আরো বলেন, আমরা অনেকে অনেক ভালো বক্তব্য দেই। কিন্তু এটা বক্তব্য দেয়ার সময় নয়। কারণ বক্তব্যে কাজ হবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করতে হবে।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক রেজা, বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসেন, মহিলা যুবলীগের সভাপতি নাজমা আক্তার প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here