ইয়ানুর রহমান, শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি :: শার্শায় ১০ টাকায় প্রতি কেজী চাউল নিয়ে চাল বাজি চলছে। কাহারো কিছু বলার নেই। প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেও সুষম বন্টন না হওয়ায় দরিদ্ররা দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। অতি দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণ করার কথা থাকলেও শার্শার প্রতিটি ইউনিয়নেই বিতরণ করা হচ্ছে সিংহভাগ ধনিদের মাঝে।
উপজেলা প্রশাসনের সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জন প্রতিনিধিদের দিক নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এক শ্রেণীর দাপুটে রাজনীতিবিদ নেতা কর্মীরা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাছিলের জন্য আত্মিয় স্বজন, একই পরিবারে একাধীক কার্ড, এমনকি একই পরিবারে বিদেশ প্রবাসি ৫ জনকেই ১০ টাকা কেজি দরের চাউলের কার্ড প্রদান করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে এ ব্যাপারে এলাকার প্রতিবাদী দুইজন যুবক ১৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী আব্দুর রাজ্জাক ও মোস্তাব আলী ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট ডিলার ক্রমিক নং- ৬৪৬ আসাদুজ্জামান, পিতা- মৃত মঙ্গলজান, ৬৩২ শওকত আলী, পিতা- সাত্তার বিশ্বাস, ৬১১ রবিউল হোসেন, ৬১৬ মেহেদী হাসান, পিতা- আব্দুস সাত্তার, ৬১৮ মোহাম্মদ আলী, পিতা- ইব্রাহিম, একই পরিবারের ৫ জন বিদেশ থাকে। কাউকে চাউল না দিয়ে ডিলার নিজেই চাউল আত্মসাত করেন।
এ ছাড়া একই পরিবারের ২ জন স্বামী স্ত্রী যথাক্রমে আক্তারী বেগম ও তার স্বামী জোহর আলীকে ২টি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আজিম উদ্দিন জানান, ডিলার আনোয়ারুলের কাছে চাল আনতে গেলে এক মাসের চাল দেয়ার পর কার্ড রেখে দিয়েছে। কার্ড ও ২য় মাসের চাল চাইলে তিনি বলেন চাল দেয়া হয়ে গেছে তোমরা সময় মত না আসায় চাল জমা হয়ে গেছে। সে চাল আর পাওয়া যায়নি।
আজিম উদ্দিন জানান, শুধু আমার নয় আরো অনেকের চাল এক মাসের দিয়ে কার্ড রেখে দিয়েছে। ১ম মাসের চাল না দিয়ে সকলের কার্ড রেখে দিয়েছে ডিলার।
এ ব্যাপারে জানতে ডিলার আনোয়ারুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
এভাবে বাগআঁচড়া, লক্ষণপুর, ডিহি, শার্শা, নিজামপুর, কায়বা, গোগা, পুটখালী, উলাশী ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নে একই অনিয়ম চলছে। প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত কর্মসূচী বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা না থাকায় ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয় সাধারণ জন মনে প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে।
তাহলে কী হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাউল ধনী শ্রেণী লোকদের জন্য বরাদ্ধ? এলাকাবাসীর অভিযোগ ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিতরণ বন্ধ করা হোক অথবা প্রাপ্য ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করা হোক। একই সাথে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস’া গ্রহণের দাবি এলাকাসীর।
এ ব্যাপারে বাগআচড়া ইউনিয়ন চেয়রম্যান ইলিয়ছ কবির বকুল কে তার সেল ফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।