সিরিয়ার সরকারি বাহিনী দেশটির তৃতীয় প্রধান শহর হোমসের বাবা আমর এলাকা থেকে বিরোধীদের হটিয়ে দখল নেয়ার চেষ্টা করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ শহরটি থেকে বিরোধী যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা এখন তাদের কাছে সময়ের ব্যাপার মাত্র।খবর : বিবিসি

সরকারি বাহিনী গোলন্দাজ দল এবং ট্যাংক নিয়ে আন্দোলন কারীদের দম

নে পথে নামলেও বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি যোদ্ধারা সরকারি সৈন্যবাহিনীকে সামনে এগুনোর পথে যতদূর সম্ভব প্রতিরোধ গড়ছে।

এমন অবস্থায় হোমস শহরের বাসিন্দারা অনিশ্চয়তা ও সংকটে রয়েছেন ।

তারা অনলাইনে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

এই ঘটনা এমন সময় ঘটছে যখন সিরিয় সরকার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বারোনেস ভ্যালেরি অ্যামসকে সিরিয়ায় প্রবেশে অনুমতি দিতে অপারগতা জানায়।

প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী বাবা আমর এলাকায় সকালবেলা ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধ ও গোলাগুলির শব্দের এক ভিডিও পোস্ট করেন ওয়েবসাইটে।

ওই আন্দোলনকারী ব্যক্তি ভিডিওটি আপলোড করার পরপরই সাংবাদিকরা তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং তার কাছ থেকে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন শহরটিতে আসলে কি ঘটে চলেছে। তিনি জানান, পাঁচদিন আগে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হন।

বিবিসিকে তিনি বলেন, শুধু বাবা আমর এলাকাতেই নয়, চারদিকেই এই হামলা চলে।

তিনি বলেন, “সকালবেলা হামলার শব্দে আমরা জেগে উঠি, ভীষণভাবে শেল বর্ষিত হতে থাকে। হোমস শহরে মূলত বাবা আমর এলাকা লক্ষ্য করেই শেল ছোড়া হয়। কত মানুষ মারা গেছে তা জানা নেই। শুধু বাবা আমরেই নয়, চারদিকেই তারা আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করছে।

গুলি ও বোমার শেলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাট দিয়েই লোকজনকে নিহত স্বজনদের মৃতদেহ নিয়ে আসতে দেখা যায়।

তারা মিস্টার আসাদকে ঈশ্বরে শত্রু বলে মন্তব্য করতে থাকেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হোমস শহরের নাগরিক অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান যে, শহরটিতে বেসামরিক নিরীহ লোকজনই হামলার প্রধান শিকার হচ্ছেন।

এদিকে স্প্যানিশ একজন সাংবাদিক যিনি হোমস শহরে আটকা পড়েছিলেন তিনি লেবানন সীমান্তে পালিযে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

একজন আহত ফরাসি সাংবাদিক সহ অন্তত আরো দুজন এখনো সেখানে আটকা পড়ে আছেন বলে জানা গেছে।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here