হিলি : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির গতি বৃদ্ধি পেলেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারনে এ পথে ভারত থেকে আমদানি করা যাচ্ছে না সকল প্রকার পেপার সামগ্রীসহ পেপার বোর্ড, গুড়া দুধ, সুতা, জুস ও স্যানেটারী সামগ্রীর মত অনেক কিছুই।

দীর্ঘ এক যুগ ধরে ওই সকল ট্যাক্সসেস আইটেম পন্য আমদানী না হওয়ায় সরকার বিপুল পরিমানের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উত্তর জনপদসহ দেশের ব্যবসায়ীদের ভারতীয় পন্য আমদানীর সহজতম পথ হিলি স্থলবন্দর । ৮৬ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয় এ স্থলবন্দর দিয়ে। বানিজ্য প্রসারে আমদানি ও রপ্তানি কারকদের ভীড় জমিয়ে পড়ে এই বন্দরে। বাড়তে থাকে সরকারের রাজস্ব।

এই বন্দর দিয়ে ইতিপুর্বে সব ধরনের পন্য আমদানী হতো। ২০০৩ সালে রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন অজুহাতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭৬ ক্যাটাগরির বিভিন্ন পন্য আমদানীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০০৭ সালে পোর্টটি বেসরকারী অপারেটরের হাতে পার্সেল অপারেশন হস্তান্তর করেন সরকার।

আবার ২০০৮-২০০৯ অর্থ বছরে রাজস্ব বোর্ড অধিকাংশ পন্যের  উপর থেকে  নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও আজও ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজ প্রিন্ট, সিগারেট পেপার, পেপার বোর্ড, সুতা, গুড়া দুধ, জুস, ডাটা ব্যাতিত তামাক পন্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। ট্যাক্স আইটেমের ওইসব পন্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করায় সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচেছ।

হিলি কাষ্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাসেম আজাদ জানান, ২০০৩ সালে রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭৬টি আইটেমের পন্য ভারতে থেকে হিলি বন্দর দিয়ে আমদানীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরর্বতীতে বেশ কিছু পন্য আমদানী অনুমতি প্রদান করা হলেও ট্যাক্সসেস আইটেম হিসাবে পরিচিত সকল প্রকার পেপার সামগ্রী সহ পেপার বোর্ড, গুড়া দুধ, সুতা, জুস, ও স্যানেটারী সামগ্রীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি। জাতীয় রাজর্স্ব বোর্ডে বার বার ওই সকল পন্যের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আর ওইসব পণ্যের উপর থেকে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয় তা হলে সরকার প্রতিবছর দ্বিগুন আরও রাজস্ব আয় করবে। এতে বন্দরের কর্মচাঞ্চল্যতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

হিলি কাষ্টমস সহকারী কমিশনার মাজেদুল ইসলাম উল্লেখিত আমদানীর উপর নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করে জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে আরও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশিলতার মাঝেও হিলি পোর্টের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলেছে। গত ৬ মাসে ৯০ কোটি টাকারও বেশী রাজস্ব আয় হয়েছে।

গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here