রহিমা আক্তার মৌ :: শিশুদের পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে দক্ষতা অর্জন করে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকদিন থেকে কাজ করছে জাতীয়-কিশোর পত্রিকা হাতেখড়ি। রাজধানীর বাংলা মোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে গত ৮ ও ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয়-কিশোর পত্রিকা হাতেখড়ির আয়োজনে দুইদিন ব্যাপী মোবাইল ফটোগ্রাফী প্রদর্শনী।

একেবারেই ভিন্ন আয়োজন ছিলো এটি। শিশু-কিশোরদের মোবাইলে তোলা অর্ধশত ছবি নিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ৮ নভেম্বর বিকেল ৩টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। চলে রাত সাতটা পর্যন্ত। দুই দিন ব্যাপী এই প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিন ৯ নভেম্বর, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলতে থাকে। সারা দেশে থেকে View From Your Eyes 2019 প্রতিযোগিতায় আহবানকৃত ছবির বাছাই করা মোবাইল ফটোগ্রাফী নিয়ে এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে ৪০জন শিশু ও কিশোর ফটোগ্রাফার।

অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে দুটি বিভাগে ১ম, ২য় ও তয় স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। ক বিভাগে প্রথম স্থান অর্জণ করে অরিজিৎ আবির, ২য় রনি ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে আফিয়া ইবনাত জয়া এবং খ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে আকলিমা আক্তার, ২য় দিব্য জতি কুন্ডু ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে ফাহমিদা চৌধুরী।

পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে হাতেখড়ির সম্পাদক ও প্রকাশক শিশু সংগঠক তাহাজুল ইসলাম ফয়সালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ী পর্বত আরোহী এম এ মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাতেখড়ির উপদেষ্টা আলাউনইদ্দন গোলন্দাজ, খেলাঘর ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি কাজি জাবেদ ইকবাল শিহাব ও তরুন অভিনয় শিল্পী তামিম খন্দকার।

ফিচার এডিটর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নিউজরুম এডিটর আরিয়ান হাবিব এর উপস্থাপনায় এসময় হাতেখড়ির চীফ ফটোগ্রাফার আনিসুর রহমান উদয়, সংবাদ প্রতিনিধি, ভলেন্টিয়ার, ফটোগ্রাফার ও ইভেন্ট সমন্বয়কবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজন সর্ম্পকে হাতেখড়ির সম্পাদক বলেন, “আমরা শুধুমাত্র লেখালেখি নয় পাশপাশি শিশু ও কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভাকে এগিয়ে নিতেও কাজ করছি। কারণ আমরা মনে করি একমাত্র সৃজনীল কর্মকান্ডই একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। প্রযুক্তির ব্যবহার হয়তো আমরা একেবারেই বন্ধ করে দিতে পারবো না কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার যদি শিশুদের শিখিয়ে দিতে পারি তাহলে অন্তত অনেক অপরাধ কমানো সম্ভব হবে। তাই হাতেখড়ির এই মোবাইল ফটোগ্রাফী প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শণীর আয়োজন।”

আসলেই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে যখন আমরা অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত। ঠিক সেই সময়ে হাতেখড়ির এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে। প্রযুক্তি ব্যবহারে সন্তানদেরকে ভাল কাজের দিকে রাখতে পারলে পড়ালেখার পাশাপাশি সৃজনীল কর্মকান্ডে ভালো করতে পারবে। লেখাপড়াকে এক ঘেয়েমি মনে হবে না।

লেখক: সাহিত্যিক কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক। rbabygolpo710@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here