দিনাজপুরের হাট বাজারগুলোতে ভেজাল সারে সয়লাব হয়ে গেছে। হাট বাজারগুলোতে ভেজাল সারে ভরে গেলেও কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা হাটবাজার তদারকি না করে নীরব ভূমিকা পালন করছে। ভেজাল সার ক্রয়করে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছে।
বোরাক্স,জিংক, ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস, ফসফেট, পটাশ ,টিএসপিও দস্তা সহ বিভিন্ন প্রকারের সার ভেজাল করা হচ্ছে। এ অভিযোগ আনেক কৃষকের । প্রতারক ব্যবসায়ীরা বসত্মার মুখ খুলে ভেজাল মিশ্রিত করে বাজার জাত করছে। এসব ভেজাল সার ওজনেও কম দেয়া হচ্ছে। ভেজাল মিশ্রিত সার ভাল সারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষকরা কোন কিছু না বুঝে দেদার এসব ভেজাল সার কিনে প্রতারিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত কৃষকরা ঠকছে। প্রতাকরা সারের বসত্মার মুখ খুলে ভেজাল মিশ্রিত করে পুনরায় নিজস্ব সেলাই মেশিন দ্বারা মুখ শিলাই করে বাজার জাত করে থাকে। এভাবেই প্রতারক চক্র কৃষকদের সর্বসানত্ম করছে। কৃষকদের সুফল তো দুরের কথা এ ভেজাল সার ব্যাবহার করে ক্ষেতের ফলন কমে গিয়ে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হচ্ছে । বিভিন্ন বাজারে গড়ে উঠেছে বাহারী রকমের ভুয়া কিছু সার কোম্পানী । এসব কোম্পানীর মালিকরা সেলম্যান নিয়োগ দিয়ে এবং কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের সকল বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে এসকল অপকর্ম করে যাচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে অনেক সার গোডাউনে এবং সার কোম্পানীতে অভিজান চালিয়ে ভেজাল সার জব্দ করে আনেকের বিরম্নদ্ধে মামলা করা হয়। অনেকের জেল জরিমানা হয়। তারা জেল জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যায়। বর্তমান সরকারের সময়ে দীর্ঘ দিন থেকে কোন অভিজান পরিচালিত না হওয়ায় ওই ভেজাল প্রতারক চক্র সারে ভেজাল দিয়ে পুরোদমে ভেজাল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ভেজাল ঠেকাতে কৃষকরা সার গোডাউন ও কোম্পানীসহ হাট বাজারগুলোতে ভেজাল বিরোধী অভিযান দাবী করেছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/গোলাম মাহবুবুর রহমান/হিলি