ঢাকা :: বর্তমান করোনা পরস্থিতিতে সরকারের অব্যবস্থাপনা, লুটপাট বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বারংবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দুর্নীতিবাজ, ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিজি’র অপসারণ, স্বাস্থ্যখাতে লুটপাট-জালিয়াতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার এবং করোনা চিকিৎসাসহ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দাবিতে আজ ১৫ জুলাই বেলা ১২টায় মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের ঢাকা মহানগর সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শামীম ইমাম, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী’র সভাপতি ইকবাল কবীর, প্রমূখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন কমরেড অনুপ কুণ্ড।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের দায়িত্বহীনতা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক গাফিলতি, দুর্নীতি দেখছি। মাস্ক, পিপিইসহ চিকিৎসকদের সুরক্ষা পোষাক নিয়ে নানা লুটপাটের চিত্র সামনে আসে। সরকার এই মহামরীর সময়েও গণমানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্যে নিরাপত্তার কোন দায়িত্ব না নিয়ে উল্টো লুটপাটকারীদের তোষণ করেছে। করোনা পরীক্ষার নামে চিকিৎসাকে বাণিজ্যিক ও দুর্নীতির দিকেই ঠেলে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথকেয়ারের কেলেঙ্কারির সংবাদ গণমাধ্যমে এসেছে। রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা টেস্টের অনুমতি দেয়া নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। কেউ দায় নিতে চাচ্ছে না। আবার ডা. সাবরিনা দিনের পর দিন করোনার স্যাস্পল সংগ্রহের নামে ভূয়া রির্পোট দিয়েছে টাকার বিনিময়ে। এই ঘটনাগুলোই স্পষ্ট করে যে, এই ধরণের ব্যক্তিমালিকানাধীন নাম স্বর্বস্ব ক্লিনিকগুলো আসলে রোগীদের জিম্মি করে টাকার পাহাড় গড়ছে কোন রকম জবাবদিহিতা ছাড়া। নানাভাবে সংবাদ বেরিয়েছে এই দুর্নীতির সাথে স্বাস্থ্যখাতের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবেই জড়িত। স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিদের গাফিলতি-মিথ্যাচার আজ সারাদেশের মানুষকে গণহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। চিকিৎসা ও খাদ্য অভাবে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ, ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ডিজি’র অপসারণ এবং দুর্নীতির সাথে জড়িদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এখন সরকার নানা নাটকীয়তার মধ্যে দিয়ে ডা. সাবরিনা ও সাহেদকে গ্রেফতার করেছে ঠিকই কিন্তু দুর্নীতি-লুটপাটের গডফাদাররা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী, ভোটারবিহীন সরকার সত্যিকার অর্থে জনগণের ন্যূনতম কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না। বরং তারা উন্নয়নের কথা বলে লুটপাটের পথকেই প্রশস্ত করছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের গণবিরোধী চরিত্র আরো স্পষ্ট হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের স্বাস্থ্য, খাদ্য ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবী আন্দোলনের মাধ্যমে উচ্ছেদ করে জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে জোরদার করা আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি