স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালেআসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:: লালমনিরহাটের আদিতমারীতে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কলেজ পড়ুয়া সেলিনা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধু আদিতমারী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। নির্যাতনের স্বীকার সেলিনা উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের মোক্তার আলীর মেয়ে ও লালমনিরহাট সরকারী কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ছাত্রী। যৌতুক লোভী এরশাদুল হক রানা (২৮) সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে।

শনিবার (২২ এপ্রিল) হাসপাতালে গেলে নির্যাতনের স্বীকার সেলিনা বেগম জানান, ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয় সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে এরশাদুল হক রানার (২৮) সাথে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও কিছু আসবাবদপত্র দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর থেকে আরও তিন লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয় তার স্বামী। শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। যৌতুক দিতে না পারলে মেয়েটিকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন রানা।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে রানা মেয়েটিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্বামীর অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে সন্ধ্যার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে বাবার বাড়ি আসেন সেলিনা। তার এ অবস্থা দেখে বাবা মোক্তার আলী রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেলিনার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

মেয়ের বাবা মোক্তার আলী জানান, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ দেড় লক্ষ টাকা ও কিছু আসবাবদপত্র দেয়া হয়। এর পরও সে টাকার জন্য আমার মেয়ের সাথে এমন নির্যাতন করতো আমার জানা ছিল না। তিনি এ ঘটনায় রবিবার আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান।

আদিতমারী হাসপাতালে চিকিৎসক আব্দুস সালাম শেখ জানান, মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুস্থ হয়ে উঠতে তার অনেক সময় লাগবে বলে তিনি জানান।

আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায় বলেন, ঘটনাটি শুনেছি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here