কাল সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও। দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করে ১৬৫ রান তুলেছে।
আইরিশদের জিততে দেননি শামসি। তাঁর ৪ উইকেটে আইরিশ ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৩২ রানে, প্রোটিয়ারা সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছে ৩৩ রানে।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংও জুটির খেলা। শামসির সঙ্গে জুটি বাঁধার জন্য আছেন আরেক স্পিনার জর্জ লিন্ডে। একজন উইকেট নিচ্ছেন তো আরেকজন রান থামাচ্ছেন।
রান থামানোর ক্ষেত্রে লিন্ডের বাঁহাতি স্পিন যে বেশ কার্যকর, তা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই প্রমাণিত। ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। কালও ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে লিন্ডে নিয়েছেন ২ উইকেট। দুজনই আবার খুব কাছের বন্ধু। সে জন্যই হয়তো মাঠে দুজনের রসায়নটা জমছে ভালো।
এর পেছনে ক্রিকেটীয় যুক্তিও আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজের সব খেলা এক মাঠে হওয়ায় অতি ব্যবহারে উইকেট হয়ে পড়ে স্পিন–সহায়ক।
বাউচার মনে করেন, বিশ্বকাপেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন এমনই থাকবে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সেখানে টানা এক মাস হবে আইপিএলের খেলা। এর দুই সপ্তাহ পরই শুরু হবে বিশ্বকাপ। তাই কন্ডিশনের সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারবেন দুই প্রোটিয়া স্পিনার।
স্পিন সব সময়ই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্বলতম অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে বড় মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন দিয়ে কাঁপিয়ে দেওয়ার ঘটনা খুব কম। ২০১১ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইমরান তাহিরকে ব্যবহার করেছে প্রোটিয়ারা।
এখন শামসি-লিন্ডে জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে দুজন কার্যকর স্পিনার। তাঁদের সঙ্গে কাগিসো রাবাদা, এনরিক নরকিয়ের মতো বিশ্বমানের ফাস্টবোলার তো আছেনই!