মো: মেহেদী হাসান, রাজশাহী

স্ত্রী ভেবে স্বামীর নিক্ষেপ করা এসিডে ঝলসে গেছে চাঁদনী (২০) নামের এক গৃহবধু। নন্দীর ছোড়া এই এসিডে তাঁর মুখো-মন্ডল সহ শরীরের বেশ কিছু অংশে ঝলশে গেছে। গৃহবধুকে গতকাল শুক্রবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসিড দুগ্ধ এই গৃহবধু পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের শিবপুর হাট জাইগিরপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের স্ত্রী।

জানাযায়, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জাইগির পাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের মেয়ে মোছাঃ আমিনা খাতুনের সঙ্গে প্রায় ১১ মাস পূর্বে রাজশাহী কাঠাখালি বেলঘরিয়া গ্রামের জার্জিস হাজ্বির ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের ১ মাসের মাথায় স্বামী মনিরুল ইসলাম বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে স্ত্রী আমেনার উপর যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে অমানুষিক নির্যাতন করতেন স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েক বার বাপের বাড়িতে চলে আসেন।

স্বামীর সঙ্গে সংসার না করার উদ্দ্যেশ্যে প্রায় দেড় মাস আগে গ্রামের প্রধানেরা এক শালিশ বৈঠক করেন। শালিশের ধার্য কৃত ১ লক্ষ টাকা দেন-মহরের মধ্যে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় গত ৫ই জানুয়ারী পরিশধ করে তালাক নামায় স্বাক্ষর করার দিন ধার্য হয়। কিন’ ছেলে ও ছেলের পরিবার ঐ দিন উপসি’ত না হয়ে মিয়ে পরিবার কে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিতে থাকেন।

মেয়ের বাবা রহিম জানান, আমার মেয়ে আমেনা হুমকির ভয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারত না। আমিনা প্রতিদিন যে ঘরে ঘুমাতো, সে বাড়িতে না থাকায় তার ঘরে আমার ছেলে তরিকুল ও তার স্ত্রী চাঁদনী বেগম(২০) ঘুমাই।

বৃহসপ্রতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঘরের জানালা খুলে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিতকারে স’ানীয় লোক জন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রহিম আরো জানান, তার জামাই মনিরুল ইসলাম এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানায় জামাই মনিরুল ইসলামকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের  করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার দূর্গাপুর উপজেলার গরিহার গ্রামের শাহজাদী বেগমকে এসিড মেরে ঝলসে দেওয়ার একদিন পরে পুঠিয়ার চাঁদনী বেগমকে এসিড মেরে ঝলসে দেওয়ার ঘটনা ঘটল।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here