আু্প

ডেস্ক নিউজ :: জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে থাইল্যান্ডে পালিয়ে আসা সৌদি তরুণীর আশ্রয় প্রার্থনা আবেদন খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে।

রাহাফ মোহাম্মদ আল-কুনুন নামে ওই তরুণীর পোস্ট বিশ্বব্যাপী সাড়া ফেলে।

তাকে কুয়েত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও মানবাধিকার সংঘঠনগুলোর চাপের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে থাই কর্তৃপক্ষ।

প্রায় ৪৮ ঘণ্টা নিজেকে হোটেল কক্ষে আবদ্ধ রেখে রাহাফও তাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা ব্যাহত করে দেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তারা সোমবার এ সৌদি তরুণীকে বিমানবন্দরের হোটেল থেকে নিজেদের জিম্মায় নেন। থাই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাকে ব্যাংককের হোটেলে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থাটি রাহাফকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তৃতীয় কোনো দেশে তার আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে।

ইউএনএইচসিআরের থাই প্রতিনিধি গুইসেপ্পে দে ভিনসেন্তিস বলেন, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে। থাই কর্তৃপক্ষ যে তাকে (রাহাফ) ফেরত না পাঠিয়ে সুরক্ষা দিতে রাজি হয়েছেন সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভ্রমণে থাকার সময় কুয়েত থেকে পালান রাহাফ। থাইল্যান্ড হয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

সৌদি এ তরুণীকে আশ্রয় দিতে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের প্রতি দেশ দুটির সাংসদ এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা আবেদনও জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here