ঢাকা : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারী বাধা স্বত্বেও সোমবারের কর্মসূচি তিনি প্রত্যাহার করছেন না। ঢাকায় নির্ধারিত সমাবেশের চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, শনিবার রাত থেকে তাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আজ রবিবার সন্ধ্যার পর পুলিশে ঘেরা তার গুলশানের অফিসে বসে টেলিফোনে তিনি বিবিসি বাংলার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কোনো কর্মসূচির আগে কোনো দলের নেতাকে এভাবে অন্তরীণ করে রাখার নজির বাংলাদেশে নেই।
বিএনপি নেত্রী বলেন, তার কর্মীরা রাস্তায় রয়েছেন এবং সোমবারের কর্মসূচি চলবে। তিনি নিজে ওই সমাবেশে যোগ দেবেন কি না, এ প্রশ্নে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি চেষ্টা করবেন। নির্বাচনের আগেও ২৯ ডিসেম্বর আমি কর্মীদের সাথে যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম, সরকার করতে দেয়নি। এবারও আরো বেশি পুলিশ দিয়ে আমাকে বাধা দেয়া হচ্ছে।
পক্ষান্তরে নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ ঢাকায় সবধরনের সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি নয়, সরকার নিজেরাই নাশকতায় লিপ্ত হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম…আমাদের নেতা কর্মীদের ঘরে ঢুকে ঢুকে নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে আজ বিকেলে গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর তার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সব বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তে তিনি অনড় আছেন। তিনি জানান, তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, তিনি গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের আন্দোলনে আছেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আগামীকাল (সোমবার) যে কর্মসূচি আছে তা তিনি পালন করবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরণের বাধা-নিষেধাজ্ঞা তিনি মানবেন না। তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এর আগে বিএনপি সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর নেতৃত্বে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ শনিবার থেকে নিজ কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করতে যান। দেখা করে বেরিয়ে শওকত মাহমুদ ও রুহুল আমিন গাজী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গাজী বলেন, আমরা মনে করি সরকার কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ করছে না। এমন আচরণের বিরুদ্ধে পেশাজীবীরা দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।