কলাপাড়া : মৃত ব্যক্তির নামে তিন লাখ টাকার সিসি লোন তুলে আত্মসাত করে তার সম্পত্তি নিলামে তোলার ঘটনায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া শাখার সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে।
সুইডেন প্রবাসী মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ভাতিজা গাজী মো. কামরুল ইসলামের পক্ষে এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন গত রোববার এ নোটিশ প্রদান করেন।
নোটিশে জানাযায়, ২০০৭ সালের ২০ জানুয়ারি সুইডেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম মারা গেলেও ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর তার নামে তিন লাখ টাকার সিসি লোন উত্তোলন করা হয়। এ লোনের বিপরীতে ৩০ অক্টোবর ২০১৩ সাল পর্যন্ত তার কাছে পাওনা দাড়ায় পাঁচ লাখ ৭৮৮ টাকা।
এ টাকা পরিশোধের জন্য জালিয়াতি করে তার সম্পত্তি বিক্রির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মেসার্স মিলন ট্রেডার্স এর প্রোপাইটার মৃত জাহাঙ্গীর আলমকে দেখিয়ে এ লোন কেস সৃজন করেন তৎকালীন ম্যানেজার আবু ইউসুফ হাওলাদার। এ জালিয়াতির ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের স্বজনরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। উকিল নোটিশে আগামী ১৫ দিনের ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়।
উল্লেখ্য, কলাপাড়া শাখায় ২০০৯ সালের১ এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের ১৩ মার্চ পর্যন্ত তৎকালীন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবু ইউসুফ হাওলাদার কর্মরত ছিলেন। একইভাবে মেসার্স সালিহা স্টোর্সের নামে একটি সিসি লোন দেয়া আছে, যার নম্বর-৩৩। এখানে বন্ধকী সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যে জমি লোনগ্রহিতার দখলে নয়। শুধু সিসি লোন নয় ২০ হাজার টাকার ক্ষুদ্র লোন রয়েছে ১৩০টি। যেখানে অনাদায়ী প্রায় ১৪ লাখ। এসব গ্রাহকদের অর্ধেকের কোন অস্তিত্ব নেই। এছাড়া কৃষি লোন বিতরনেও রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। শত শত লোন গ্রহিতার কোন অস্তিত্বও নেই।
এমনকি ব্যাংকের কর্মকর্তারাও অনাদায়ী লোন আদায় করতে গিয়ে এদের কারও ঠিকানা খুঁজে পায় নি। অন্তত তিনশ বেনামী কৃষিলোন রয়েছে শুধুমাত্র নীলগঞ্জ ইউনিয়নে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্রের যোগসাজশে ভুয়া নাম ঠিকানার কাগজপত্র ব্যবহার করে বেনামী লোন নিজেরা হাতিয়ে নিয়েছে।
মিলন কর্মকার রাজু/