দেশের গার্মেন্টসকর্মীদের জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘সেলাই পরিবার’। সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামান এর মূল ভাবনা থেকে রোকেয়া প্রাচীর রচনা ও পরিচালনায় এ ধারাবাহিক নাটকটির ১৩ পর্ব শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এতে অভিনয় করছেন দিলারা জামান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আহমেদ,রুবেল, আহসান হাবিব নাসিম, মাজনুন মিজান, সুমনা সোমা, নিশা, অলিউল হক রুমি, দিহান, শামিমা তুষ্টি, সাজ্জাদ রেজা, আস্থা, উজ্জল, সাজ্জাদ রাজিব, ইমন, পিয়াল, মিল্টন , বিথী রানী সরকার, কাজী রাজু, রাসেল প্রমুখ। ক্যামেরায় রয়েছেন হাসান ও আহাদ, সহকারী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন তানজু এবং কারিগরি সহায়তায় রয়েছে ইন্টারকাট সলিউশন। শিগগীরই দেশের একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে ভিন্ন মাত্রার এ ধারাবাহিক নাটকটির প্রচার শুরু হবে। ‘সেলাই পরিবার’ ধারবাহিক নাটকটি প্রযোজনা করছে এস এম স্টাইল লিমিটেড(স্মার্টেক্স) এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী  আনোয়ারা বেগম।

এ উপলড়্গে ২৮ জুন, শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর পিৎজা ইন রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ধারাবাহিক নাটক ‘সেলাই পরিবার’-এর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এম স্টাইল লিমিটেড(স্মার্টেক্স) এর প্রধান নির্বাহী আনোয়ারা বেগম, আরটিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক রহমান, সেলাই পরিবারের নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী, বাংলাভিশনের পরিচালক আহসানুল বাশার পাভেল, অভিনয় শিল্পী দিলারা জামান, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মাজনুন মিজান’সহ নাটকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে।

অনুষ্ঠানে নাটকটির প্রযোজক আনোয়ারা বেগম বলেন- “আমরা আসলে গার্মেন্টসকর্মীদের সম্মান জানানোর জন্যই এ ধারাবাহিক নাটকটি প্রযোজনা করছি। সেলাই পরিবারের সনন্তানেরা এতো পরিশ্রম করে বিদেশে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে। আমরা তাদের গল্পই এ নাটকে তুলে ধরবো।”

আরটিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক রহমান বলেন- “এ নাটকটির গল্প শুনেই আমরা আরটিভি পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেলাই পরিবারের সঙ্গে আরটিভি থাকবে। এটা সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা করছি।”

অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন- “এ নাটকটির মাধ্যমে সেলাই পরিবারের আনন্দ বেদনা সবার সঙ্গে মিশে যাবে। এ পরিশ্রমী মানুষের গল্পটা সবাইকে জানানো দরকার।”

নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী বলেন- “একটা ডক্যুমেন্টারী নির্মাণের সূত্র ধরে পরিচয় হয় স্মার্টেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আনোয়ারুজ্জমান সাহেবের সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন- ‘এই যে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে এতো মানুষ কাজ করে তাদের জীবনের গল্প নিয়ে কি কোন ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করা যায়? আমি বললাম ‘অবশ্যই করা যাবে’। সেই থেকে আসলে এই সেলাই পরিবারের অভিযাত্রা শুরু। এরপর গার্মেন্টসে গিয়ে পোশাক শ্রমিকদের উপর বেশ কিছু রিসার্চ ওয়ার্ক করেছি। সেখান থেকে একটা গল্প তৈরি করে এ ধারাবাহিক নাটকটি নির্মাণ করছি। এটা আমাদের একটা স্বপ্নের প্রজেক্ট। সমাজের প্রতি এক ধরণের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আসলে ‘সেলাই পরিবার’ ধারাবাহিক নাটকটি নির্মিত হচ্ছে। এ ধারবাহিকটির মাধ্যমে পোশাক শ্রমিকদের জীবনের গল্পগুলোকেই সবার সামনে তুলে ধরা হবে। আমরা আপাতত ১০০ পর্ব নির্মাণের চিন্তা করছি।”

গল্প সংক্ষেপ:

মানুষের আশা, ইচ্ছে আর স্বপ্ন দেখবার গল্প হল ‘সেলাই পরিবার’। সব বাঁধাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যায় এ গল্পের সংগ্রামী চরিত্রগুলো। বাংলাদেশের চালিকা শক্তি সেলাই পরিবার নারীর  ক্ষমতায়নের কথা বলে । এতে তুলে ধরা হয়েছে একই সাথে আমাদের এবং অনেক বছরের পুরনো নানু, দাদুর কাঁথায় শুয়ে শুয়ে সুখ – দুঃখের কথা ও সেই স্মৃতিময়  ঐতিহ্যের কাছে ফিরে যাবার গল্পগুলো। নকশি কাঁথা দিয়েই এ দেশের সেলাই কারখানার ইতিহাস শুরু। এ ইতিহাস গড়েছে আমাদের মহান নারীরাই। পুরো গল্পে জানানো হয়েছে তাদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা। নারী পুরুষের একে অপরের সহযোগীতায় এগিয়ে চলা, সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করবার নানা ঘটনা, সহমর্মিতার নানা মানবিক গল্প নিয়েই লেখা হয়েছে ‘সেলাই পরিবার’ নাটকটি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here