ডেস্ক: ২৪ বছর পর আবারও ব্রাজিল বিশ্বকাপের শেষ চারে আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনার হাত ধরে সেই ১৯৯০ সালে শেষবারের মতো সেমিফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর শেষ আটের বাধাই হয়ে ওঠে দুইবারের বিশ্বজয়ীদের সর্বোচ্চ দৌড়। সেমিফাইনালে ওঠার এই আনন্দের মাঝে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের একটা তথ্য জানিয়ে দেওয়া জরুরি। আর্জেন্টিনা কিন্তু কখনোই সেমিফাইনালে হারেনি।

১৯৩০ বিশ্বকাপ
প্রথম বিশ্বকাপেই সেমিফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন স্তাবিলেরা। আর্জেন্টিনার পক্ষে সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেন গুইলার্মো স্তাবিলে ও কার্লোস পিউসেল্লে। অপর দুটি গোল করেন লুইস মন্তি ও আলেসান্দ্রো স্কোপেলি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন জিম ব্রাউন।

১৯৭৮ বিশ্বকাপ
এ বিশ্বকাপে ফরম্যাট অনুযায়ী কোনো ‘সেমিফাইনাল’ ছিল না। দ্বিতীয় রাউন্ডও হয়েছিল দুটো গ্রুপ ভাগ করে। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল মুখোমুখি হয় ফাইনালে। এ অবস্থায় দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজেদের গ্রুপের শেষ ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিকরা। ফাইনালে যেতে হলে শেষ ম্যাচটি ৪ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মেনোত্তির আর্জেন্টিনাকে। আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৬-০ গোলে। ম্যাচে মারিও কেম্পেস ও লিওপেলে লুকে করেন জোড়া গোল।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ
মেক্সিকো বিশ্বকাপের গল্পের পুরোটাই ম্যারাডনাময়। এ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও তা-ই। বেলজিয়ামের কিংবদন্তি গোলরক্ষক জাঁ মারি ফাফকে দু-দুবার পরাস্ত করে জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টিনা জিতেছিল ২-০ গোলে। এর একটি গোল তো ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা।

১৯৯০ বিশ্বকাপ
এ বিশ্বকাপ ইতালিতে হওয়ায় তা ডিয়েগো ম্যারাডোনার জন্য ছিল অনেকটা ঘরের মাঠে খেলাই। কারণ, আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি তখন ইতালীয় লিগে নাপোলির হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন। কাকতলীয় হলেও সত্য, সেবার আর্জেন্টিনা-ইতালির মধ্যকার সেমিফাইনাল হয়েছিল নাপোলির মাঠে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের স্কোরলাইন দাঁড়াল ১-১। ১৭ মিনিটেই আজ্জুরিদের এগিয়ে দিয়েছিলেন নব্বইয়ের সেনসেশন সালভাতর স্কিলাচ্চি। ৬৭ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান ক্লদিও ক্যানিজিয়া। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর্জেন্টিনার চারটি শটই জালের ঠিকানা খুঁজে পায়। শেষ শটের প্রয়োজন পড়েনি। কেননা, তার আগেই ইতালির পরাজয় নিশ্চিত। ইতালি হারে ৪-৩ গোলে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here