মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: উপকূলীয় অঞ্চল সুবর্ণচর উপজেলার লবণাক্ত জমিতে বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। স্বল্প খরচে বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এ কারণে লবণসহিষ্ণু এ ভোজ্য ফসল আবাদে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সূর্যমুখীর চাষ বাড়তে থাকায় অনাবাদী জমির পরিমাণ কমার পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের স্থানীয় চাহিদা পূরণ হবে।
এ চরে হলুদের আভায় ছেয়ে আছে মাঠের পর মাঠ। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে হলুদের ছড়াছড়ি। এ যেন চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এক অপরূপ সৌন্দর্য। রাস্তার দুপাশের মাঠের দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায় ভোজ্য ফসল সূর্যমুখীর বাহারি শোভায়।
ফুলের মাঠে মৌমাছি, পাখির আনাগোনাও দেখা গেছে বেশ। কখনো উষ্ণ আবার কখনো নির্মল বাতাসে দোল খাওয়া সূর্যমুখীর হাসিও চোখে পড়বে। জেলার সূবর্ণচর উপজেলায় গত বছরের পর এবারো বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষকরা জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে দীর্ঘদিন ধরে পতিত থাকা ২১৫ একর জমিতে গত বছরই প্রথম সূর্যমুখীর চাষ করে গ্লোব কৃষি খামার।
নোয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ প্রণব ভট্টাচার্য জানান, লবণাক্ত জমিতে, অল্প পরিশ্রম ও খরচে ভালো ফলন পাওয়ায়, এতে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের। তাই এবার স্থানীয় অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। রবি মৌসুমে চরের পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ বাড়াতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের গ্লোব এর উদ্যোগে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে। সারাদেশে গ্লোব ৫১৫ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।
সুবর্ণচরের কৃষক খাজা মেম্বার জানান,২০১৫ সাল থেকে ৩৫ একরে এইসূর্যমুখীর চাষ হলেও এবার হয়েছে ৩১৫ একর জমিতে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ফেলে আগামী বছর হাজার একর ছাড়িয়ে যাবে।
তরুণ কৃষক আবদুল্লা জানান,এবার শেষ সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় প্রথমে চাষে ব্যাঘাত ঘটেছে আর এখন বৃষ্টি না হওয়ায় গাছের ফলন কিছুটা কম হয়েছে,ফল গুলো মাঝেমাঝে ছোট হয়েছে। তারপর ও কৃষক লাভবান হবে।
স্থানীয় চর আমানুল্লাহ্ কৃষক কিরণ জানান, বাজারে ভেজাল সার জমিতে প্রযোগের ফলে ফলন কিছুটা কমে গেছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গতবছর ২১৫ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হলেও এবার হয়েছে ৩১৫ একর জমিতে। আর প্রতিবছর রবি মৌসুমে এ চরের কমপক্ষে ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি অনাবাদী থাকে।