সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, ‘এবারের সভায় সুন্দরবন নিয়ে আমাদের উদ্বেগগুলো লঘু করে দিতে সরকার জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এর পেছনে ভূরাজনৈতিক স্বার্থ কাজ করেছে। তবে আমরা হতাশ নই। সুন্দরবন রক্ষায় লড়াই চালু থাকবে। এখানে দেশের মানুষের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের সমর্থন থাকবে। কারণ, সুন্দরবন বৈশ্বিক সম্পদ।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে দেশের মানুষের সমর্থন পায়নি সরকার। তারা বিশ্বের নানা দেশের সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হয়েছে। এই লবিংয়ের টাকা তারা কোত্থেকে পাচ্ছে?
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে যখন ভারত, চীন বা রাশিয়া দাঁড়ায়, তখন এ নিয়ে প্রশ্ন থাকে। কেননা, এসব দেশের প্রতিটিরই বাংলাদেশে জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ আছে। এখানে ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ বা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের কারণে এসব দেশ সপক্ষে দাঁড়াতে পারে না।
আজকের সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। বক্তব্য দেন পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ওয়াচেন প্রধান স্টেফান দোম্পকে, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পরিবেশবিদ ও গবেষক সাজিদ কামাল, বাপার সহসভাপতি আবদুল মতিন প্রমুখ।