সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। প্রায় প্রতিদিনই সুন্দরবনের কোন না কোন এলাকায় বাঘের হামলায় মারা যাচ্ছেন জেলে, বাওয়ালি।
৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র পাঁচ দিনে এমন ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঘের সাথে লড়াই করে বেচে আছেন আরো কয়েকজন। এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ন একটি এলাকা থেকে বাওয়ালিদের সরিয়ে নিয়েছে বনবিভাগ। বনবিভাগ সূত্র জানায়, সামপ্রতিককালে সুন্দরবনের বাঘ বেপরোয়া হিংস্র আচরণ শুরু করেছে। প্রায় প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় হামলা চালাচ্ছে জেলে-বাওয়ালির ওপর। এমনকি বাঘ প্রতিনিয়ত খাদ্যের সন্ধানে হানা দিচ্ছে লোকালয়ে।
৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সুন্দরবনের ৪০ নম্বর কম্পার্টমেন্টের আড়ুয়া খালে গোলপাতা আহরণ করতে গিয়ে বাঘের হামলায় মারা যান আছিরুদ্দিন সানা (৪৭)। একই দিনে মার্কি খাল এলাকায় হামলা চালিয়ে বাওয়ালি ঈমান আলী মিস্ত্রীকে ( ৫৫) মেরে ফেলে বাঘ। অন্যদিকে ২ ফেব্রুয়ারি শিবসা নদীর ভবনিয়া খালে গোলপাতা কাটতে গিয়ে কয়রা উপজেলার বাঘালি গ্রামের হযরত আলী সানা (৪০) বাঘের হামলায় নিহত হন।
৩১ জানুয়ারি কয়রার সাতহালিয়া গ্রামের খলিলুল্লাহ গাজী (৩২) ও কালনা গ্রামের আব্দুল মজিদকে (৩৫) সুন্দরবনের মার্কি খালে হামলা চালিয়ে মেরে ফেলে বাঘ। এর আগে ৩০ জানুয়ারি বাঘের হামলায় ৩ বাওয়ালি মারা যান। এদের মধ্যে দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের আড়ুয়া খালের কাছে গোলপাতা কাটতে গিয়ে রহমত আলী (৫৯), বাঘাতলি খালে কাওসার মোড়ল (৫৫) ও শিবসা নদীর পশ্চিম সীমান্তে শফিকুর গাজী (৪৫) বাঘের হামলায় নিহত হন। সাতক্ষীরা রেঞ্জে গত দুই দিনে ২ জন বাঘের সাথে লড়াই করে ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বাঘের খ্যদ্র সংকটে এমন আচরণ করতে পারে। সুন্দরবনের বাঘের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য নেয়। ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষুধার্ত বাঘ লোকালয়ে হানা দিচ্ছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নাজমুল হক/সাতক্ষীরা