ডেস্ক রিপোর্ট: : ক্যু’য়ের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করা মিয়ানমারের সামরিক প্রশাসনকে ব্যর্থ করে দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।

বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে ক্ষমতা গ্রহণে সামরিক ক্যু’য়ের নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে  ইউএন মহাসচিব বলেন, এটি দেশ শাসনের কোনো উপায় হতে পারে না। নির্বাচনের দোহাই দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের আটক করে রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিসহ অন্যান্য রাজনীতিবিদদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া দেশ শাসনের নামে ধরকাপড় এবং গণতন্ত্র চর্চায় বাধা দেওয়া আইনের অবক্ষয় বলেও মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ।

মঙ্গলবার চীনের ভেটোর কারণে সেনা কু’য়ের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
এদিকে সু চির মুক্তির দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ অব্যাহত আছে এমন খবর প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিচ জানান, গেল কয়েকদিনে যত মানুষকে আটক করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সবাইকে দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছি আমরা। সু চির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে সেটি গণতান্ত্রিক চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করবে। একই সঙ্গে এটি শাসন ব্যবস্থার চরম অবক্ষয়। তাই সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।

বিশ্বব্যাপী নিন্দার মধ্যেও ঠিকই মিয়ানমারের দখলদার সেনা সরকারের পাশে আছে চীন। বেইজিং বলছে, সব পক্ষের উচিত আলোচনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, চীন ও মিয়ানমারের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। আমরা চাই সেখানে শান্তি থাকুক। সব দল স্থিতিশীলতা ও সংবিধান মেনে চলুক। এতেই জনগণের মঙ্গল। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিরাপত্তা কাউন্সিলে যাওয়ায় বরং বেইজিং অবাক হয়েছে।

এরই মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লাইং নতুন দায়িত্ব নেওয়া প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আগামীর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানান, সেনা সদস্যদের দায়িত্ব নেওয়া জরুরি ছিল। এদিকে নতুন করে দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর ৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকছে বিমান চলাচল। এতে বিশ্ব থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে মিয়ানমার।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here