স্টাফ রিপোর্টার ::দেশে এখন প্রকৃত সার্বভৌমত্ব নেই। ভারতের কাছে দেশ নতজানু হয়ে পড়েছে। সীমান্তে একের পর হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ভারত আমাদের লাশের পর লাশ উপহার দিচ্ছে। কিন্তু এই হত্যার শক্ত প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত বর্তমান সরকারের নেই।

আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বর্তমান সরকার আজ দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে তুলেছেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা ছিল দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা। তিনি তরুণ প্রজন্মকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা ধারণ করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দৃঢ় আন্দোলন করার আহ্বান জানান।

দেশের জনগণের কাছে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব আকাঙ্ক্ষিত ছিল দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যার পর দেশে এক অনিশ্চিত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জনগণের মধ্যে বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছিল।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে আমরা রাওয়ালপিন্ডির শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি, কিন্তু এখন দিল্লির শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়েছি। ৭ নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ছিল এই শৃঙ্খল থেকে নিজেদের মুক্ত করা।’

নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পাটির আহসান হাবিব, বিএনপির নিপুণ রায়চৌধুরী, ফরিদ উদ্দিন, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান, কৃষক দলের মোজাম্মেল হকসহ অনেকে। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের মহাসচিব এম জাহাঙ্গীর আলম।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here