মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি ::
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার যুবক তৌহিদুল ইসলাম সুমন(২৭) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডে নিহত হয়েছেন। নিহত সুমন নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এসহাক মুন্সির হাট এলাকার মিরাজ মাস্টার বাড়ির মৃত মোবাশ্বের আলমের ছেলে। তিনি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে কর্মরত ছিলেন। তবে ওনারা স্বপরিবারে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কালাপানিয়ার বাড়িতে থাকতেন।
নিহত সুমনের চাচাতো ভাই মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, গতকাল রাতে অফিস থেকে কল আসে, অফিসে আগুন লাগছে। অফিস বাসা থেকে ১ মিনিটের দূরত্ব। তিনি বাসা থেকে লুঙ্গী পরে বাহির হন।
পরে ডিপোতে যাওয়ার ২০ মিনিট পর কন্টেইনার থেকে কেমিক্যাল এর বিস্ফোরণ ঘটে। তারপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সকাল সাতটা অবধি তার ফোনে কল ডুকে, এরপর আর কল ডুকেনি। আত্মীয় স্বজন সবাই হাঁহাকার করে খুঁজতে থাকে, এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল পরবর্তীতে বিকেল ৩ টার সময় মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করেন স্বজনেরা।
তিনি আরো জানান, লাশ ময়নাতদন্তের আনুষ্ঠানিকতা ও অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।পরে সন্দ্বীপের কালাপানিয়ার তাঁর বাবার পাশে পারিবারিক করবস্থানে শায়িত করা হবে।
রাত আটটার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এসহাক মুন্সির হাট এলাকার মিরাজ মাস্টার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে সুমনের মৃত্যুর খবর শুনে ঘরের তালা ঝুলিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কালাপানিয়ায় চলে যান।