সিরাজগঞ্জে প্রাণের চকলেট দুধ খেয়ে শিশু অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামে।
জানা যায়, ঐ গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ রোববারর রাতে শহরের ইলিয়ট ব্রীজের পশ্চিম উত্তর কর্ণারের বিসমিল্লাহ কনফেকশনারী থেকে প্রাণ ডেইরী লিঃ এর চকলেট দুধ (মিল্ক ম্যান) ২০০ মিলির প্যাকেট কেনেন। প্যাকেট দুধ খেয়ে আব্দুল মজিদের শিশু সন্তান তেলকুপি মডার্ন কিন্ডার গার্টেনের নার্সারী ক্লাশের ছাত্রী মিম (৬) অসুস্থ হয়ে পরে।
তাকে ডাক্তারী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে ফোনে যুগের কথাকে জানিয়েছেন। পরে যুগের কথার সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এর সত্যতা পান। পরে ঐ দুধের প্যাকেট থেকে কটু গন্ধ বের হচ্ছে যা খাওয়ার অযোগ্য। প্যাকেটটি দৈনিক যুগের কথা অফিসে সংরক্ষন করা হয়েছে। প্রাণের চকলেট ও ম্যাঙ্গো দুধ সম্পর্কে শহরের বিভিন্ন দোকানীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে মুক্তা প্লাজার হেলথ কনফেকশনারীর মালিক অজয় দত্ত জানান, আমার দোকানে সরবরাহকৃত প্রাণ কোম্পানীর চকলেট ও ম্যাঙ্গো দুধেও এ ধরনের সমস্যার কথা অনেক অভিভাবক অভিযোগ করে।
পরে আমি ঐ সমস্ত মালামাল ফেরত দেই। অপর এক দোকানী শহরের বিএ কলেজ রোড মোড়ের তালুকদার ষ্টোরের মালিক মাহবুব জানান, প্রান কোম্পানীর চকলেট ও ম্যাঙ্গো দুধের ফয়েল অনেক আগের তৈরী। বর্তমানে ঐ ফয়েলের গায়ে নতুন করে উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ সম্বলিত সিল ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে আমি বিক্রয় প্রতিনিধি মোখলেসুর রহমান শিরুর নিকট শুনেছি। এ ব্যাপারে বিক্রয় প্রতিনিধি শিরু বলেন, আমরা ফয়েলের গায়ে কোন সীল ব্যবহার করি নাই, তবে কোম্পানি যেভাবে আমাদেরকে সরবরাহ করে আমরা সেভাবে মালামাল বাজারজাত করি। প্রাণ কোম্পানীর সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের পরিবেশক আলাউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চকলেট ও ম্যাঙ্গো দুধে সমস্যার কথা জেনেও দোকানীরা ঐ সমস্ত মালামাল কিনছে কেন? এ ব্যাপারে আমার করার কিছুই নেই।
এ বিষয়ে প্রান মিল্কের প্রধান কার্যালয়ের (চীফ ডেইরী) রাকিব হোসেন এ দুধ বিক্রির জন্য দোকানদারদের দায়ী করে বলেন তারা কোম্পানীর লোকদের কাছ থেকে এই দুধ না নিলে এ ঘটনা ঘটতো না।
তবে তিনি জানান, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। এদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে অজয় দত্তের ফেরত দেয়া ঐ সমস্ত মালামাল প্রান কোম্পানীর কর্মচারীরা পরে বাজারজাত করেছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সুজন সরকার/সিরাজগঞ্জ