জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: যেখানেই মানবিক বিপর্যয় সেখানেই এ জননেতা। সুখে-দুখে, দুর্যোগ-দুঃসময়ে হাজারো মানুষের কল্যাণে নিবেদিত এই প্রিয়মুখ। বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস মহামারীতে রুপ নিয়েছে। বাংলাদেশেও থাবা বসিয়েছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস, প্রতিদিন কেউনা কেউ আক্রন্ত হচ্ছেন আবার মারাও যাচ্ছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এদিকে করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই (বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা) স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। কিন্তু এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির শুরু থেকে জেলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মানবিক নেতার উপাধি পাওয়া সালাহ উদ্দিন টিপু। এক কথায় এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু একজন মানবিক নেতার নাম।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক্ষ্মীপুরের হাট-বাজারে, পাড়ায়-মহল্লায় রাত-দিন সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন তিনি। তাঁর যেন বিরাম নেই। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার জীবানু মুক্ত করতে নিয়েছেন নানান প্রদক্ষেপ। সংক্রমণ রোধে বিতরণ করেছেন মাস্ক, সাবান, স্যানিটাইজার, বসিয়েছেন হাত ধুয়ার ভেসিন। সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ফার্মেসী, মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে সাদা রং দিয়ে রাস্তার ওপর সুরক্ষারেখা এঁকে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হাসপাতাল, অলি-গলি, শহরের বিভিন্ন স্থান ও জনসমাগম হয় এমন এলাকাগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজও করছেন।
স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন-রাত কাজ করছেন। গভীর রাতে পৌরসভা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসহায় বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজ হাতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। ডাক্তার, সাংবাদিক ও নার্সদের জন্য ব্যাক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পিপিই তৈরী করে দিয়েছেন। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সচেতনামূলক প্রচারনা করছেন।
আপর দিকে গত বছর ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহ প্রকোপের সময় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় নিজ হাতে পরিস্কার করে ডেঙ্গু মুক্ত করার ব্যাপক চেষ্টা করেন। যেখানেই মানবিক বিপর্যায় সেখানেই ছুঁটে যান মানবিক নেতা সালাহ উদ্দিন টিপু।
এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের ছেলে।
দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, সালাহ উদ্দিন টিপু এমন একজন নেতা, তাঁর কাছে থেকে প্রতি মুহূর্তে প্রেরণা সাহস ও সহযোগীতা পাই। তিনি আমাদের ভালো কাজে উৎসাহী করেন। করোনা প্রতিরোধে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির যুবলীগ নেতাদের জনগণের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছন সভাপতি টিপু। এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও জনগণের সহযোগিতায় কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য নেতার থাকে অসাধরণ শক্তি, যাহা টিপুর মধ্যে আছে। তিনি পরোপকারী এবং সব মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতীক। যে কোনো দুর্যোগ-দুঃসময়ে তিনি পাশে দাঁড়ান। তিনিই নেতা, তাকে স্যালুট।
জেলার সচেতন মহলের ভাষ্যমতে, এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি ও বিএনপির কোনো নেতাকে করোনা প্রতিরোধে কোনো ধরনের সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিতে দেখা যায়নি। কে কোথায় আছেন সেটিও জানেন না এই জেলার মানুষ। জেলার চারটি আসনের এমপিরাও এলাকায় নেই। এই মহামারির সময় একজন জনপ্রতিনিধি টিপুকে ছাড়া জনগণ তাদের অন্য প্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছে না।
এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া লক্ষ্মীপুরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এতে বন্ধ হয়ে গেছে দিনমজুর ও অসহায়দের উপার্জন। এখন তাদের ঘরে খাবার নেই। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কষ্ট করা ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের। এ অবস্থায় অসহায়দের ঘরে ঘরে যদি আমরা আমাদের সাধ্য মতো খাবার পৌঁছে দিতে পারি তাহলে তারা ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে কষ্ট করতে হবেনা। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। আসুন সবাই দেশ ও জনগণের পাশে থাকি। এই উপজেলার মানুষ দুই বার আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের কাছে ঋণী। এই কষ্টের সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান করছি, তারা যেন সাধ্যমতো জনগণের উপকারে কাজ করেন।