আবদুস সাত্তার, নড়াইলঃ

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের রক্তের সর্ম্পক রয়েছে। দু’ দেশের সীমানে- কিছু লোকেরা মারা যায়। যারা মারা যায় তারা মুলত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সীমানে- দিয়ে স্মাগলিংসহ বাচ্চাদের ও মেয়েদের ট্রাফিকিং হয়। অনেক ড্রাগ স্মাগলিং হয়। ক্রিমিনাল দ্বারা এসব কাজ  সংঘটিত হয়। রাত্রিবেলায় অন্ধকারের মধ্যে এরকম ক্রিমিনাল এ্যাকটিভিটিস করে তাদের এরকম হয়। তবে আমরা চাই না এরকম কোন ঘটনা ঘটুক। কয়েক দিন আগে একটা ঘটনা হয়েছিল। সে জন্য ৮জনকে অলরেডি সাসপেন্ট করা হয়েছে। আমরা এরকম কাজে কখনো সমর্থন দিতে পারি না।

তিনি শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে নড়াইল সফরকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এশিয়ান হাইওয়ে সম্পর্কে বলেন, অনেক বছর আগে একটা এশিয়ান কার হাইওয়ে র‌্যালি হয়েছে। হাওয়ে সড়ক তৈরি হলে দু’ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো বাড়বে। যেটা আমাদের সকলের জন্য খুব একটা ভাল হবে।
তিনি ভারতীয় মেডিকেল ভিসা সম্পর্কে বলেন, ভারতে যাওয়া লোকদের সংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশ এক নম্বরে। সেটা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। এদেশ থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে যেসব রোগী যান তাদের সুবিধার্থে আমরা ছয় মাসের ট্রিপল এন্ট্রি ভিসা দিয়ে থাকি। আমরা মেডিকেল ভিসাটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।

পরে তিনি বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্সে যান এবং শিল্পী সুলতানের আঁকা দুর্লভ ছবি ও ভাসমান শিশুস্বর্গ (নৌকা) দেখে অভিভুত হন। এসময় তিনি শিল্পী সুলতানের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর তিনি চিত্রা নদীর তীরে জমিদারদের নির্মিত বাধাঘাঁট ও রূপগঞ্জ আশ্রম পরিদর্শন করেন। দুপুরের খাবার শেষে তিনি বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। নড়াইলে অবস’ানকালে নড়াইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার এসএম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবুল হাসনাত মোঃ লতিফুল কবীর, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ হুমায়ুন কবীর, জিপি অচীন চক্রবর্ত্তী, এসএম সুলতান বেঙ্গল আর্ট কলেজের অধ্যক্ষ অশোক কুমার শীল, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুন্সী হাফিজুর রহমান, বিজন কুমার সাহা, অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী শৈলেন্দ্রনাথ সাহা, ডাঃ স্বপন কুমার রায়সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপসি’ত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here