ইয়ানূর রহমান, শার্শা প্রতিনিধি :: আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতানকে বুধবার সকাল থেকেই তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। শুক্রবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়ার কথা রয়েছে।
টিপু সুলতানের বড়ছেলে সাদাব হুমায়ুন সুলতান শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জানান, বুধবার সকাল থেকেই তার বাবার অবস্থা গুরুতর। তখন থেকেই তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
সাদাব বলেন, উনাকে মুভ করানোর কোনো পরিবেশ নেই। যদি ডাক্তাররা ভরসা দেন তাহলে সকালে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের। বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে টিপু সুলতানের চাচাতো ভাই জুয়েল জানান, টিপু ভাই ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
জুয়েল আরো জানান, প্রচন্ড জ্বরের কারণে মঙ্গলবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি আইডি থেকে বৃহস্পতিবার রাতভর জানানো হচ্ছে, টিপু সুলতান আর বেঁচে নেই। এই বিষয়ে সাদাব বলেন, ‘ফেসবুকতো একটা উন্মুক্ত মাধ্যম। এখানে কেউ কিছু লিখলে তো আর আটকানো যাবে না।’
টিপু সুলতানের মস্তিস্কে আগে থেকেই পানি জমে ছিল। গত সোমবার তার প্রচন্ড জ্বর আসে। একপর্যায়ে যশোরের বাসায় মেঝেতে পড়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল ৯টার দিকে তার অবস্থা বেশ খারাপের দিকে যায়। পরে বেলা ১১টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেন চিকিৎসকরা।
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বেলা আড়াইটার দিকে টিপু সুলতানকে অপরারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। তখন থেকে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার মাথার একপাশে পানি জমেছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খান টিপু সুলতান যশোরের মণিরামপুর আসন হতে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে কাছে হেরে যান তিনি।
টিপু সুলতান ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।