মো: মনির হোসেন বাদল, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সিডরের ৭বছর পরেও পটুয়াখালীর বিধ্বস্ত বেড়িবাধগুলো সম্পূর্ণ রূপে মেরামত হয়নি। যা হয়েছে তাও সঠিক মাপে না হওয়ায় শঙ্কিত সিডর বিধ্বস্ত মির্জাগঞ্জের চরখালী-গোলখালী সহ উপকুলবাসী।
ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা ছিল উচু বেড়িবাধ নির্মান। কিন্তু গত ৭বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি বিধ্বস্ত বেড়িবাধও সম্পূর্ণ রূপে মেরামত না হওয়ায় চরম হতাশা আর আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ। এক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চান সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ ১১ লক্ষ উপকূলবাসী।
২০০৭সালের ১৫ নভেম্বর রাতের ঘূর্ণিঝড় সিডর কেড়ে নেয় পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলার ৬৭৭ জনের মানুষের প্রাণ। আহত হয়েছে সারে ৮ হাজার মানুষ। লন্ড-ভন্ড হয়ে যায় ৫৫ হাজার ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ হয় প্রায় ২ লক্ষ পরিবারের ১০ লক্ষ লোক। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ শত মসজিদ ও মন্দির, ৩৫১ টি স্কুল ও কলেজ, প্রায় ৫ লক্ষ একর ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ১৮ হাজার গবাদি পশু মারা যায়।
সিডরে বিধ্বস্ত হয় জেলার ৯০০ কিঃ মিঃ বেড়িবাঁধ ও রাস্তাঘাট। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের চরখালী- গোলখালী, লোহালিয়া, পায়রাগঞ্জ,লাউকাঠীসহ উপকুলবাসী।
শুধু মানুষই নয় গৃহপালিত পশু-পাখি ও বন্য প্রাণীও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ আজও সে দুর্বিসহ স্মৃতি বহন করছেন।
তবে ক্ষতিগ্রমানুষের সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা ছিল উচু বেড়িবাধ নির্মান। কিন্তু গত ৭বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি বিধ্বস্ত বেড়িবাধও সম্পূর্ণ রূপে মেরামত না হওয়ায় চরম হতাশা আর আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ।
অন্যদিকে যে গাছ-পালা সিডরের সঙ্গে লড়াই করে মানুষ ও প্রাণীজগত রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল; তা দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নেই। এদিকে সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে অধিকাংশ পূনর্বাসন হলেও তাদের জন্য আত্ম-কর্মসংস্তান সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রেকৌশলী মো: শফিউদ্দীন বলেন, আমরা উচু বেড়িবাধ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করেছি ।২০০৭সালের সিডর, জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধ ভেঙ্গে গেছে বেশির ভাগই আমরা মেরামতে করেছি । আর যে বেড়িবাধ ভাঙ্গা আছে সেগুল নদীর পানির স্রোতের কারনে হয়েছে । আগামী বছর সকল বেড়িবাধ মেরামতের কথা বলে শোনালেন পটুয়াখারী পানি উন্নয় বোর্ডের এই কর্মকর্তা ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা ও ভবিষ্যতে যাতে সিডরের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগের হাত থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা করতে উচু বেড়িবাধ নির্মান ও বিস্তির্ণ বনভূমি সৃষ্টির বিকল্প নেই বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।