সাত জেলায় এগারটি গুচ্ছগ্রাম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী স্টাফ রিপোর্টার :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৭টি জেলায় ১১টি গুচ্ছগ্রাম উদ্বোধন করে বলেছেন, তাঁর সরকার দেশের সকল মানুষের জন্য নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

গুচ্ছগ্রাম উদ্ধোধনকালে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- দেশে আর একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। সকলের জন্য মাথা গোঁজার ঠাই নিশ্চিত করা হবে, অন্তত একটি করে টিনের ঘর হলেও আমরা করে দেব।’

শেখ হাসিনা আজ বুধবার (৩ মে) গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতি ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে।

তিনি বলেন, আমি চাই জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের পূর্বে দেশের একটি লোকও আর গৃহহীন থাকবে না।

গুচ্ছগ্রামগুলো হচ্ছে- লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন সানিয়াজং, লালমনিরহাট সদর উপজেলাধীন হীরামানিক ১ ও ২, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল কোট ভাজনী বালাদূতি, ঠাকুরগাঁও’র পীরগঞ্জ উপজেলার বাইরাচুনা সিরাইল, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার অন্তর্গত বাগপুর-২, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রিফিউজি পাড়া-১, রংপুরের পীরগাছা উপজেলাধীন জুয়ান-১, রংপুরের গঙ্গাছড়া উপজেলাধীন আর্জি জয়দেব, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলাধীন সালাইপুর এবং ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন কবিরপুর-৫।

এই ১১টি গুচ্ছগ্রামে ৩৯০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৫ জন।

সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ২য় পর্যায় প্রকল্পটি ১ অক্টোবর ২০১৫ সালে শুরু হয়েছে এবং প্রকল্পের ব্যাপ্তি ২০২০ সাল পর্যন্ত। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৪১ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ২ হাজার ৫শ’ গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুনে।

চলতি অর্থ বছরে এই প্রকল্পের আওতায় ১৩৫টি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে ৪ হাজার ৬শ’টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। যাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা।

ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম হীরা এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here