ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার সর্বশেষ বিষয়বস্তু জানানোর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে।
আগামী ৫ মার্চ তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির নিশ্চিত করতে র্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসান অরুনের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। এ তিন আসামিকে ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর সাগর-রুনি হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এর আগে ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাদেরকে বক্ষব্যাধী হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ন চন্দ্র দত্ত হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এম মাসউদ হোসেন দোলন। তাকে সহযোগিতা করেন খলিফা শামসুন্নাহার।
গত ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যার অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন নওশের আলম রোমান। এই মামলার তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর তদন্তের দায়িত্ব ডিবির কাছ থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাড়িতে খুন হন মাছরাঙ্গার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি।