ডেস্ক রিপোর্টঃঃ সাকরাইন উৎসবের আগেই আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বন্ধের দাবি জানিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। একইসঙ্গে অন্তত জনস্বাস্থ্যের বিবেচনায় বিয়ে অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের উৎসবে আতশবাজি ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এর ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

 

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রধান ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ইংরেজি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই সময় রাজধানীর অন্তত ১০টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও এক শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে উঠে এসেছে। বর্ষবরণের রাতে ক্যাপসের গবেষণায় অন্য সময়ের তুলনায় ৭৮ শতাংশ বেশি শব্দ ও ৩৩ শতাংশ বেশি বায়ু দূষণের তথ্য উঠে এসেছে। যা সবদিক থেকে মানুষ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই আসন্ন সাকরাইন উৎসবসহ সবধরনের উৎসবে বাজি, শব্দ ও বায়ুদূষণকারী কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাকরাইন ঢাকার একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি এই উৎসবে ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি ফোটানোসহ শব্দ এবং বায়ু দূষণকারী নানান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এটি দেশের প্রচলিত পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালায় সুস্পষ্ট অপরাধ হলেও দূষণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না।

অযথা শব্দ ও বায়ু দূষণ করা আইনত নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফাস্ট নাইট ও বর্ষবরণে এটি অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছেছে। যা উৎসবকে সন্ত্রাসের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এতে ভীত হয়ে একটি শিশুর প্রাণ ঝরেছে, আগুনে সর্বস্ব হারিয়েছে অনেকে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এসব দেখেও কিছুই না জানার ভাব করে আছে পরিবেশ অধিদফতরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের নীরবতার সুযোগে ক্রমশ বেড়ে চলেছে উৎসবের নামে শব্দ সন্ত্রাস।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here