ডেস্ক রিপোর্ট:: ইউনাইটেড নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমের সম্পাদক ও প্রকাশক, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও বেসরকারি সংস্থা ডরপ-এর মিডিয়া ম্যানেজার আ হ ম ফয়সাল আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন)।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া সদর হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আ.হ.ম ফয়সল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার রফিকুল ইসলাম তালুকদারের ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট বোন মানতাশা তাসনিম। তিনি জানান, ফয়সাল ভাইয়ের কোনো অসুস্থতা ছিলোনা। আমরা একসঙ্গে ইফতার করেছি। হঠাৎ দেখি তিনি বিছানায় শুয়ে রয়েছেন। ডাকাডাকি করে কোনো শব্দ পাচ্ছি না। পরে তাৎক্ষণিক উখিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মানতাশা আরো জানান, আমি উখিয়ায় একটি নতুন চাকরিতে জয়েন করেছি। আমাকে দেখতে মা’সহ গত কয়েকদিন আগে এখানে এসেছেন তিনি। লকডাউনের কারণে মূলত ঢাকায় ফিরতে পারছিলেন না।
তিনি জানান, তার মরদেহ উখিয়া থেকে নিজ এলাকা লক্ষিপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজেন্ডার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সফলতার সাথে কাজ করেছেন। সর্বশেষ ইউনাইটেড নিউজ টোয়ান্টিফোরডটকম এর সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তার মৃত্যুতে ইউনাইটেড নিউজ টুয়েন্টিফোর পরিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে। একই সঙ্গে তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
সব সময় হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। নরম সুরে কথা বলা, সবাইকে আপন করে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা ও কাজ পাগল মানুষটির নাম আ.হ.ম ফয়সাল। হঠাৎ করেই এভাবে চলে যাবেন কেউ মেনে নিতে পারছেন না। মৃত্যু হয়েছে জেনেও সহকর্মীরা আবেগাপ্লুত হয়ে বলছেন ‘তিনি এখনও জীবিত’। হাস্যোজ্জ্বল মুখে আবারো অফিস মাতাবেন, আশায় আছেন তার সহকর্মীরা।
তার মৃত্যুতে আরো শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা সাব এডিটরস কউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়। নেতৃদ্বয় বলেন, ফয়সাল অত্যন্ত বিনয়ী ও ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন সৎ ও যোগ্য গণমাধ্যম কর্মী এবং সহযোদ্ধাকে হারালাম।
তারা তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আ.হ.ম ফয়সল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখি করতেন। ২০০৯ সালে তার লেখা বই ‘অন দ্য স্পট’ এবং ২০১৯ সালে ‘এএইচএম নোমান গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী’ নামে দুটি বই প্রকাশিত হয়।