মোহাম্মদ মাসুদ। ইউনাইটেড নিউজ ২৪.কম

সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের বিভিন্ন স্পটে চলছে হাইওয়ে পুলিশের বাণিজ্য। তাদের থাবায় পড়ছেন মহাসড়কে চলাচলকারী পণ্য বোঝাই ট্রাক, যাত্রীবাহী কোচ ও ট্রাক্টর।

sarail pic (1)পুলিশের মাসোয়ারার জন্যই সম্প্রতি ওই মহাসড়কের বেড়তলা নামক স্থানে তিন মটর সাইকেল আরোহীকে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন। পরে অবশ্য পুলিশ ওই ৩ লাশের মূল্য ৭ লাখ টাকা নির্ধারন করে পার পেয়ে গেছে।

sarail pic (3)শুক্রবার সরজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা আসন্ন। ঘড়ির কাটায় তখন সাড়ে ৬টা। বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জসিমের নেতৃত্বে মহাসড়কের ইসলামাবাদ এলাকায় ডিউটি করছে একদল পুলিশ। নিয়ম থেকে অনিয়মই বেশী। সিগনাল দিয়ে গাড়ি থামিয়ে চালক ও হেলপারের কাছ থেকে প্রকাশ্যে হাত বাড়িয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

দূরে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখছেন  আর মুচকি হাসছেন সার্জেন্ট জসিম। গাড়ি থেকে টাকা দিয়ে দিয়ে ছাড় নিচ্ছে পণ্যবোঝাই ডিষ্ট্রিক ট্রাক গুলো। সাথে রয়েছে কিছু যাত্রীবাহী গাড়ি ও হালচাষের ট্রাক্টর। কয়েক মিনিটের মধ্যে মহাসড়কে লেগে যায় জ্যাম। যাত্রীরা পড়ে যায় দূর্ভোগে। এতে হাইওয়ে পুলিশের কোন মাথা ব্যাথা নেই। এক সময় যাত্রীদের চিৎকার। তখন ঘনিয়ে আসছে সন্ধ্যা। এমন সময় ঘটনাস্থলে পৌছে যায় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী। টের পেয়ে সাংবাদিকদের পিছু নেয় সার্জেন্ট জসিম। আপ্যায়নের কথা বলে তাদের পিকআপ ভ্যানে করে এগিয়ে দেয়ার অনুরোধও করেন কয়েকদফা। স্থানীয় লোকজন জানায়, মহাসড়কের এ জায়গায় নিয়মিত সন্ধ্যায় ও ভোরে হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি চেকের নামে টাকা আদায় করে।

sarail pic (2)এ বিষয়ে সার্জেন্ট জসিম বলেন, টাকা নেয়ার বিষয়টি জানি না। আমি গাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ করে একজন বলল স্যার কে যেন ছবি উঠিয়েছে। আমার অগোচরে কোন পুলিশ কাজটি করে থাকতে পারে।

তবে আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাকে বিষয়টি না জানিয়ে ওসি স্যারকে জানালেন। এটা ঠিক হয়নি। বিশ্বরোড হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনাটি আমার অজানা। এখানে নতুন এসেছি। এখনো সবগুলো জায়গাই চিনি না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here