স্টাফ রিপোর্টার :: রাজধানীর হাজারীবাগের সব ট্যানারির বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কাজ শেষ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। তারা ২২৪টি বিদ্যুৎ সংযোগ, ৫৪টি গ্যাস সংযোগ ও ১৯৩টি পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সকালে শুরু হওয়া অভিযান শেষে বিকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) ম. আলমগীর এ কথা জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট তিতাস গ্যাস, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষকে (ঢাকা ওয়াসা) সঙ্গে নিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্নের কাজ শুরু করে।
গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট হাজারীবাগ ছাড়তে ট্যানারিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেন। পরে এই রায় সুপ্রিম কোর্টে বহাল থাকে। ট্যানারি মালিকরা ঈদুল আজহা পর্যন্ত সময় চেয়ে আবেদন করলে সেটা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। ট্যানারিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে ১০ এপ্রিলের মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে আদালত। পরবর্তী সময় এ নিয়ে ট্যানারি মালিকরা আর কোনো আইনি লড়াইয়ে না যাওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্নের কাজ শুরু হয়। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্নের কাজে ট্যানারি মালিক ও শ্রমিকরা সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরা গ্রামে ১৯৯ একর জমির ওপর চামড়া শিল্পনগর প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ১৫৫টি ট্যানারি শিল্প-কারখানাকে সরিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। তবে বেশ কিছু ট্যানারি সেখানে প্লট পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও পরিবেশ অধিদপ্তরের দাবি, ওই ট্যানারিগুলোর পরিবেশ ছাড়পত্র নেই।
সে ক্ষেত্রে প্লট পায়নি_ এমন ট্যানারিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে কিনা জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের এখতিয়ারবহির্ভূত। সব সংযোগই বিচ্ছিন্ন করা হবে।
ট্যানারি মালিকদের অভিযোগ, হেমায়েতপুরে ট্যানারিগুলোর এখনই কাজ শুরু করার মতো অবস্থা নেই। বিসিক এখনো প্রস্তুত নয়। সেখানে পুরোপুরি গ্যাস-সংযোগ চালু করা যায়নি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) তৈরির কাজও পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ অবস্থায় হাজারীবাগে ট্যানারিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।