ডেস্ক রিপোর্ট : : এক সপ্তাহের ব্যবধানে নাটোরে অর্ধেকে নেমে এসেছে রসুনের দাম। প্রতি বিঘায় প্রায় ১০ হাজার টাকা লোকসানে পড়ছেন কৃষকরা। সারাদেশে রসুনের মোট চাহিদা প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন। চলতি বছর জেলায় উৎপাদিত রসুন সারাদেশের ২৯ ভাগ চাহিদা পূরণ করবে। উৎপাদন অব্যাহত রাখতে রসুনের দাম বৃদ্ধি করতে সরকারের প্রতি দাবি করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
নাটোরের কৃষকদের কাছে রসুন সাদা স্বর্ণ হিসেবে পরিচিত। গত ৩ বছর ধরে ভালো দাম পাওয়ায় প্রতি বছরই রসুনের উৎপাদন বাড়ছে এ জেলায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বছর উৎপাদনও হয়েছে ভালো।
তবে নতুন রসুন বাজারে আসতে শুরু হওয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজির রসুন নেমে এসেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিবিঘা রসুন উৎপাদনে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর চলতি বছর বিঘা প্রতি রসুন উৎপাদন হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ মণ। তবে বর্তমান দামে প্রতি বিঘায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আমদানিনির্ভর এই রসুন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
কয়েকজন কৃষক জানান, বাজারে নতুন রসুন আসতে শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজির রসুন নেমে এসেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা ১০ হাজার লোকসানে পড়েছি।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, যেভাবে দাম কমছে। এটা অব্যাহত থাকলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিকেজি রসুনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করতে সরকারের কাছা আহ্বান জানাচ্ছি।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর জেলায় ২১ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে এক লাখ ৭৮ হাজার ৮৭৮ টন রসুন উৎপাদন হয়।
আর চলতি বছর ২ লাখ ১০ হাজার রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।