আ হ ম ফয়সল: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পানি ও স্যানিটেশনকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেলেও বাংলাদেশ সরকার সংবিধানে এখনো তা স্বীকৃতি দেয়নি। আমাদের দেশে উৎপাদন এবং লক্ষ্যমাত্রার দিক থেকেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য সরকারকে সকলের পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে।

বেসরকারী সংস্থা ডরপ আয়োজিত এক কর্মশালায় আলোচকরা এ দাবী জানান। বুধবার  বরগুনার আরডিএফ মিলনায়তনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় আরো জনানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি বছর স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যহানি জনিত রোগের চিকিৎসা বাবদ ২৯৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। কোন কোন অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও লবনাক্ততার কারণে পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ব্যহত হয়। বাংলাদেশে পানি ও স্যানিটেশন অধিকার বিষয়ক আইন, নীতিমালা ও কার্যক্রমগুলোর ক্ষেত্রে ও সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারসমূহ সঠিকভাবে বাসত্মবায়িত হয় না।

৪ ভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬ ভাগ রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন টয়লেট নেই এবং ১৪ ভাগ বিদ্যালয়ে মাত্র একটি করে টয়লেট রয়েছে। প্রায়ই বিদ্যালয়ের টয়লেটে পর্যাপ্ত পানির সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। এমনকি দেশের অধিকাংশ মেডিকেল ক্লিনিক এবং হাসপাতালেও টয়লেট সুবিধা এবং পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই।

আলোচকরা জানান, বরগুনা জেলায় বর্তমানে ১৩ হাজার ৯০৭টি গভীর নলকুপ রয়েছে। এ অঞ্চলের ৬৫ ভাগ মানুষ ৫০ মিটারের বেশী দূরত্ব অতিক্রম করে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করে। বরগুনা সদর উপজেলায় প্রায় ৩ লাখ জনসাধারনের জন্য ৪ হাজার গভীর নলকুপ রয়েছে। যার মধ্যে বেশ কিছু অকেজো ও অনিরাপদ। জনসংখ্যার তুলনায় এই সংখ্যা অপ্রতুল।

কর্মশালার সভাপত্বি করেন ডর্‌প এর চেয়ারম্যান আজহার আলী তালুকদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সিভিলসার্জন ডাঃ মোঃ রুস্তম আলী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী মঈনুল হাসান, সহকারী জেলা তথ্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ, স্লব-বাংলাদেশ’র ডিরেক্টর শেখ মোঃ জুনায়েদ আলী, ওয়াস বাজেট মনিটরিং ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনোয়ার, ওয়াস এনজিও নেটোওয়ার্কের সভাপতি সামছুদ্দিন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসানুর রহমান ঝন্টু, প্রধান শিক্ষক সামছুন নাহার, কমিউনিটি রেডিও লোকবেতারের স্টেশন ম্যানেজার মনির হোসেন কামাল, শুকতারা’র নির্বাহী পরিচালক কাজল রানী দাস, আরডিএফ এর উপ-নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, জনস্বাস্থের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএ মান্নান, ডর্‌প এর ওয়াস কার্যক্রমের সমন্বয়কারী আমীর খসরু ও মোঃ দিদার উদ্দিন প্রমূখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here