ব্যাবধান
-সংযুক্তা সাহা
ও হাঁ আপনি কি ভাবছেন? পুরুষ বলে সব ভোগ করছেন!
আপনার চরিত্রের স্বাধীনতা আছে,
সকালে বেলা বিছানায় চা পাবার অধিকার আছে।
ততটাই স্বাধীনতা তার আছে, সে মনে মনে কি ভাবছে!
বিয়ের পর চাকরি করার মেয়েটির ইচ্ছে আছে।
সেই সাথে স্বামীর পরিবারের চোখ গরম করার রেওয়াজ আছে।
শাশুড়ী বৌকে এক বিন্দু পছন্দ করে না বলে বেড়াচ্ছে।
সই শাশুড়ীকে মাথায় করে না রাখার জন্য মেয়েটি আজও মার খাচ্ছে।
শুনে কি ভিষণ রাগ হচ্ছে? মেয়েটিও গালি দিচ্ছে সেটা আপনারই লাগছে।
ছোট বেলায় বাবা মেয়েকে শিখিয়েছিলো, মেয়েরা গালি দেয় না।
মা ছেলেকে শিখাতে ভুলে গেছে মেয়েদের গালি দিতে হয় না।
জীবনের পথে পুরুষকে বুক টান টান করে চলতে বলেছে।
আর মেয়েরা টান টান করে চলাফেরা করায় ইভটিজিং করতে বলেছে?
হট ম্যানলি বডি স্প্রে আপনি লাগাচ্ছেন কাছে টানতে।
মেয়েটিও মিষ্টি মিন্ট ফ্লেভার নিয়েছে মনকে সাজাতে।
তাই বলে ম্যানলি বডি স্প্রে পারেনা, মিন্ট ফ্লেভারকে ধর্ষণ করতে।
অন্ধকারে পুরুষের ভয় জ্বিন ভুতের; তওবা কাটে রাস্তা কাটতে।
নারীর ভয় পুরুষকে নিয়ে; ও বাবা আপনি জ্বিন ভুতের থেকে কম কিসে।
আহা কি শক্তিশালী আপনি, হচ্ছে না মনে আনন্দ এবার?
মেয়েটার মনের সাথে রেসলিং না খেলে, একটু শান্তি দিন এবার।
নিজের না-বালিকা মেয়ের মতই চোখটা প্রতিবেশীর মেয়েটার উপর রাখুন।
আরে না না কি বলছেন; আমাদের ভদ্র সমাজে এসব হয় না।
ও আচ্ছা! টিনের চালের ঘরের মেয়েটার সাথে আপনার এমন হয় বুঝি?
আর ইংলিশ মিডিয়ামে কটিপতির মেয়েটার দিকে নজর ড্রাইভারের হয়।
ওই, যে মেয়েটার ঘর টিনের চালের; এই ড্রাইভার তার বাবা হয়।
মনটাকে আপনি স্ট্যাটাস দিয়ে বেঁধে, ক্লাস দিয়ে রাপিং করতে পারবেন না।
কামারের ঘরে লোহা পিটিয়ে ধার করলে হবে না, ভোতা মনটাকে ধার দিতে হবে।
শত বছরের বাজে চিন্তা গুলো মনে এলে, টুকরো টুকরো করে কাটতে হবে।
মিটিং মিছিল সেমিনার দিয়ে হয়তো এনজিও স্পন্সরশিপ পাবে।
কিন্তু একই পাত্রে স্বাধীনতাকে ভালোবাসা দিয়ে না মাখলে সমাজ এমনই রবে।