রফিকুল আনোয়ার
রফিকুল আনোয়ার

স্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন সম্পাদক রফিকুল আনোয়ার সম্প্রতি এক সাক্ষৎকারে বলেন, সংবাদপত্রের শ্রেণীবিভাগ না করে প্রচার সংখ্যার ওপর মাননির্ণয় করা উচিত।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হলে জাতীয় আর বিভাগীয় সদর কিংবা জেলা সদর থেকে প্রকাশিত হলে আঞ্চলিক পত্রিকা এ শ্রেণী বিভাগ বাতিল করতে হবে। জাতীয় বা আঞ্চলিক এই শব্দগুলো বাতিল করে প্রচারসংখ্যার ভিত্তিতে পত্রিকার শ্রেণীবিভাগ করতে হবে। যেমন ঢাকা থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকার প্রচার সংখ্যা ১ হাজার তাকে জাতীয় কিংবা চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকার প্রচারসংখ্যা ৫০ হাজার হলে তাকে আঞ্চলিক পত্রিকা বলা যাবে না। এই শ্রেণী বৈষম্য দূর করা জরুরী।

তিনি আরো বলেন, পত্রিকার শ্রেণী বিন্যাস করতে হবে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় এই ক্রমপর্যায়ে এক্ষেত্রে বিভাগীয় সদর কিংবা জেলা সদর থেকে প্রকাশিত পত্রিকাও ১ম শ্রেণীর মর্যাদা পেতে পারে। আবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাও ৫ম শ্রেণীতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে।

রফিকুল আনোয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে তিনি সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের দমনে যে কোন আইন-ই রাষ্ট্রের সুফল বয়ে আনতে পারেনি তা অতীতে বহুবার প্রমাণিত। স্বাধীন সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা একটি রাষ্ট্রের সামগ্রিক অবকাঠামো পরিবর্তনের অপরিহার্য বিষয়। তিনি এ প্রসঙ্গে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, এ আইনের সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বিরোধী ধারাগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে হলেও বাতিল করা উচিত।

এডিটরস ফোরাম গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশের সম্পাদকদের এক কাতারে এনে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করে যাবে। একইভাবে সাংবাদিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে এ সংগঠন সদা সচেষ্ট থাকবে। কোন দুর্বৃত্ত কিংবা রাষ্ট্রের কোন বাহিনীর অন্যায় অযৌক্তিক কোন নিপীড়ন সংবাদপত্র কিংবা সংবাদিক সমাজের ওপর নেমে আসলে তাও দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা হবে। সংবাদপত্র যেন শিল্প হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রকৃতভাবে শিল্পের মর্যাদা লাভ করতে তার পক্ষে এডিটরস ফোরাম কাজ করে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here