গবেষণায় আরো দেখানো হয়েছে, শ্যামপুরের পানিতে অ্যামোনিয়া ২ থেকে ৪ দশমিক ৮ পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যার আদর্শমান শূন্য দশমিক ৫। তিনটি ভিন্ন ঋতুতে শ্যামপুরের পানিতে তেল ও গ্রিজের পরিমাণ ১ দশমিক ৯ থেকে ৫ দশমিক ৬ পর্যন্ত। অথচ এটি শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ থাকার কথা। এসব তেল ও গ্রিজ নদীর পানিকে আলো প্রবেশে বাধা দেয়। নদীর পানিতে ফেনল পাওয়া গেছে শূন্য দশমিক ১৪ থেকে শূন্য দশমিক ২, যার আদর্শমান শূন্য দশমিক ০০২। এই অতিরিক্ত মাত্রার ফেনল পানিকে আরও বিষাক্ত এবং পানের অনুপযোগী করছে। ফেনলের উপস্থিতি ডায়েরিয়া, লিভারে স্থায়ী সমস্যার জন্য দায়ী।
বক্তারা দাবি করেন, শিল্প এলাকা শ্যামপুরে কারখানার সংখ্যা প্রায় দুই শ। এর মধ্যে রিরোলিং মিল, ইস্পাত ও তৈরি পোশাকশিল্পের কারখানা আছে। তবে ডাইং কারখানা আছে প্রায় এক শ। শ্যামপুর–কদমতলী শিল্প মালিক সমিতি জানিয়েছে, এর মধ্যে দশ থেকে ১৫টি কারখানার বর্জ্য শোধনাগার ব্যবস্থা আছে। বাকি কারখানাগুলোর তরল বর্জ্য সরাসরি নালা হয়ে বুড়িগঙ্গায় পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন বক্তারা।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here