স্টাফ রিপোর্টার :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তের জন্য পুরো দল বদনামের ভাগীদার হতে পারে না। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি যারা ক্ষতিগ্রস্ত করছেন, তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অভিযান শুরু হয়েছে। তার এ লড়াই, অ্যাকশন চলবে।
শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশেই দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, শেখ হাসিনা দুর্নীতিমুক্ত সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার জন্য সংগ্রাম শুরু করেছেন। কোনো অপকর্মকারীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে যে উন্নয়ন ও অর্জন করেছেন, সেটা গুটিকয়েক অপরাধীর জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জন্যই আজ বিশ্বে দেশ সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে। বিশ্বের যে কোনো জায়গায় উন্নয়ন ও অর্জন নিয়ে কথা বলতে গেলে বাংলাদেশের নাম অনায়াসে চলে আসে। চলে আসে শেখ হাসিনার নাম।
উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেন, শেখ হাসিনা জঙ্গি নির্মূল করেছেন। তিনি যেটা শুরু করেন, সেটা শেষ করেন। বিশ্বাস করি, আজ তিনি যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, সেটাতেও সফল হবেন। ক্যাসিনো, জুয়া, মদ- এগুলো সংবিধানে নিষিদ্ধ। আজ হোক, কাল হোক শেখ হাসিনা এগুলোও নির্মূল করবেন।
তিনি বলেন, আজকের বিশ্বে সেরা দশ সফল রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে একজন শেখ হাসিনা। নিজ কর্মগুণে তিনি দেশে-বিদেশে সমাদৃত। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলাই শেখ হাসিনার লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ক্রুসেড শুরু করেছেন। অপকর্ম, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। এ অ্যাকশন শুধু ঢাকা শহরে নয়, সারা বাংলায় চলবে। গুটিকয়েক অপকর্মকারী ও দুর্নীতিবাজের জন্য গোটা আওয়ামী লীগের বদনাম হতে পারে না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল আজ প্রতিটি জনপদে পৌঁছে গেছে। বিশ্বের দু’জন সফল প্রধানমন্ত্রীর একজন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বসমাজে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, নূরুল ইসলাম নাহিদ, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মির্জা আজম, আজমত উল্লাহ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।