ডেস্ক রিপোর্টঃঃ  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিল করে নতুনভাবে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। যেখানে সকল ধরনের শিক্ষক ও বিজ্ঞ আলেমগণকে আন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলনের নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

চরমোনাই পীর বলেন, শিক্ষা সিলেবাসের অসঙ্গতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছি। এই ধারাবাহিক কার্যক্রমকে শিক্ষামন্ত্রী ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে মিথ্যা সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এখন শিক্ষামন্ত্রী মিথ্যুক প্রমাণিত হয়েছেন। অতএব শিক্ষামন্ত্রী এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না। তাকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ-বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উসকানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিকতা ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশি সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মতো নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাঠ্যপুস্তকের বিকৃতি ঘটানো ও ইতিহাস থেকে মুসলমানদেরকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলার প্রচলিত ইতিহাসের বিরুদ্ধে গিয়ে পাঠ্যপুস্তকে প্রতিবেশী, ব্রাহ্মণ্যবাদীদের সুরে সুর মিলিয়ে মুসলিম শাসনকে দখলদারিত্ব ও উপনিবেশিক শাসন বলা হয়েছে। ইতিহাসে স্বাধীন সুলতানি আমল ও বারো ভুঁইয়াদের গৌরবময় ইতিহাসকেও অস্বীকার করা হয়েছে। এই পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে নতুন করে পাঠপুস্তক প্রণয়নের দাবি জানাই।

 

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মাওলানা ওবাইদুর রহমান, বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওছার প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here