মিলন কর্মকার রাজু কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :: বয়স ৩২। মানসিক প্রতিবন্ধী। তাই ছোট্র কুড়ে ঘরে শিকলে বাঁধা অব¯স্থায় তোফাজ্জেল হাওলাদারের প্রতিটি মুহুর্ত কাটতো। কখনো ঘরের মধ্যে বসে কাঁদত, আবার খিল খিল করে হাসতো। তার এই হাসি-কান্নার সাক্ষী ছিলো হাজারো মানুষ। সবাই তাকে ভালবাসতো। কেউ কেউ খাবার কিনে ঘরে তাকে দিয়ে যেতো।
কিন্তু গভীর রাতে বসতঘরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে শিকল বন্দী অবস্থায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে তোফাজ্জেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
জানাযায়, বাবা সেরাজ হাওলাদার ও মা মাজেদা বেগমের সাথেই থাকতো তোফাজ্জেল। তারা যে জমিতে থাকতো তা নিয়ে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিরোধ চলছে। তাই বিরোধীয় জমিতে গোলপাতার ছাউনি দিয়ে ছোট্র ঝুপড়ি করে তোফাজ্জেলকে নিয়ে থাকতো তারা।
ঘটনার রাতে তোফাজ্জেলকে শিকল বাঁধা অবস্থায় ঘুম পাড়িয়ে বড় ছেলে মোশারফের বাসায় খেতে যান তারা। স্থানীয়দের কাছ থেকে অগ্নিকান্ডের খবর দ্রুত বাসায় এসে দেখে তাদের ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর ছাইয়ের নিচে চাপা পড়ে আছে তোফাজ্জেলের অঙ্গার হয়ে যাওয়া দেহ। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন সাংবাদিকদের জানান, তিনি অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন। কি কারনে আগুন লেগেছে তা কেউ জানাতে পারেনি।
কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরন করেছে। এটি নাশকতা নাকি দূর্ঘটনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
