বছরের পর বছর একই স্থানে শাড়ির গিঁট বাঁধা নারী স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি নিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছেন ভারতীয় চিকিৎসকরা। তারা ত্বকের এই সমস্যার নাম দিয়েছেন শাড়ি ক্যান্সার। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকীর নভেম্বরের সংখ্যায় এই নিয়ে একটি লেখা ছাপা হয়েছে, যা নিয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শাড়ি ক্যান্সার নিয়ে গবেষণারত মুম্বইয়ের গ্রান্ড মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জি ডি বকশী জানান, গত দুই বছরে তিনি তিনজন কোমরের ত্বকের ক্যান্সারের রোগী পেয়েছেন। তিনি এর নাম দিয়েছেন শাড়ি ক্যান্সার। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও তেমন সচেতনতা গড়ে ওঠেনি বলে মনে করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিডিনিউজ।

এতে বলা হয়- শাড়ি কিভাবে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে, তা জানিয়ে ডা. বকশী বলেন, শাড়ি পরা হয় পেটিকোটের ওপর। পেটিকোটটি সাধারণত সরু একটি সুতা দিয়ে বাঁধা হয়। তার ওপর পড়ে শাড়ির গিঁট। দীর্ঘদিন ধরে একইভাবে পরার ফলে কোমরের ছোট একটি জায়গার ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে এবং ত্বক স্বাভাবিক রঙ হারাতে থাকে। সমস্যাটি জটিল না হওয়া পর্যন্ত কেউ চিকিৎসকের কাছে আসেন না।

শাড়ির ক্ষেত্রে এই ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিলেও প্যান্ট কিংবা বেল্ট পরলে তা হয় না কেন- জানতে চাইলে ডা. বকশী বলেন, প্যান্টের ক্ষেত্রে বেল্টের প্রস্থ বেশি হয়, ফলে কোমরের বড় অংশ জুড়ে চাপ ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু পেটিকোটের রশিটি হয় অত্যন্ত সরু। যারা শাড়ি পরেন, ঝুঁকি এড়াতে তাদের গিঁট খুব টাইট না করতে এবং রশির প্রস্থ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তারা বলছেন, অভ্যাস বদলালেই যেহেতু ঝুঁকি এড়ানো যায়, তাই সহজেই এই ধরনের স্বাস্থ্যসমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর সমস্যা হলে প্রয়োজন দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here