স্টাফ রিপোর্টার :: গত ৩০ জানুয়ারি শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পেছনে ১৪ বছরের এক কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হয় মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছিল অথবা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল।
আজ সোমবার বিকাল ৩টায় শহিদ মিনারের পাদদেশে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যৌথভাবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই ঘটনার প্রতিবাদ ও এর বিচার দাবিতে সমাবেশ করে।
পুলিশ শহিদ মিনার এলাকার একজন ভবঘুরেকে গ্রেফতার করেছে এবং দাবি করেছে যে সে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট মেয়েটির ময়না তদন্তের প্রতিবেদন দ্রুত প্রকাশের এবং পুরো ঘটনা তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও দফতর সম্পাদক তৌফিকা লিজার পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এবং ঢাকা নগর শাখার দপ্তর সম্পাদক নওশীন সাথী।
বক্তারা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই ঘটনা ঘটলেও রহস্যজনকভাবে বিশ্বিবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় নিরব। অথচ এই শহিদ মিনারে সন্ধ্যার সময় দর্শনার্থীদের বের করে দেয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিমের সক্রিয় ভূমিকা দেখা যায়। পুলিশও এক ভবঘুরেকে ধরে তার স্বীকারোক্তি নিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। আমরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চাই।”
বক্তারা আরও বলেন, “এই ঘটনা একটা ধারাবাহিকতা মাত্র। এই ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছে। যে ধরনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটে তা এই দেশে পুরোমাত্রায় বিদ্যমান। ধনী দরিদ্রের তীব্র বৈষম্য, এই বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য যুব সমাজের মধ্যে অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফির ব্যাপক প্রসার- এই ধরনের ঘটনা একের পর এক জন্ম দিয়ে যাচ্ছে।”
বক্তারা নারী নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here