খোরশেদ আলম বাবুল।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে কোর্ট পুলিশ বক্স থেকে চৌরঙ্গী মোড় পর্যনত্ম সড়ক ও জনপদের অবৈধ দখল মুক্ত করা হয়েছে। এসময় প্রায় ২ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়।
উচ্ছেদাভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আরডিসি মোঃ মুসফিকুর রহমান। উচ্ছেদাভিযানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পুলিশ ও আনছার ভিডিপি সদস্যগণ। সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী সহ অর্ধশতাধিক কর্মী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কাজে নিয়োজিত ছিলো।
উচ্ছেদাভিযান পরিচালনাকালে অবৈধ দখলদার ও ভাড়াটে ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, সড়ক ও জনপদের নিজস্ব জায়গা অবৈধ দখল করে তারা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেছিল। গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলে। ইতোপূর্বেও এরকম নোটিশ করা হয় তবে কোন কার্যকারী পদড়্গেপ ছিল না তাই দোকান সরিয়ে নেই নি। আজ ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং সড়ক ও জনপদের লোকজন নিয়ে স্থাপনা ভাঙ্গতে আসছে তাই দ্রম্নত সরিয়ে নিচ্ছি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন বলেন, আমরা সড়ক ও জনপদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদাভিযান পরিচালনা করছি। ইতোপূর্বে অবৈধ দখলদারদে নোটিশ করা হয়েছে কিন্তু তারা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি তাই আজ অভিযান পরিচালনা করছি। রবিবার কোর্ট এলাকার পুলিশ বক্স থেকে উচ্ছেদাভিযান শুরম্ন হয়েছে চৌরঙ্গী মোড় পর্যন্ত অভিযান চলবে। সড়ক ও জনপদের সকল কর্মচারীগণ উচ্ছেদাভিযানে অংশগ্রহন করেছে। পর্যায়ক্রমে সড়ক ও জনপদের অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে উচ্ছেদ করা হবে। ডাকবাংলো ব্রীজ থেকে উত্তর পাশে সড়কের কিছু অংশ ব্যবসায়ীরা অবৈধ দখল করেছে। তাদেরও নোটিশ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই উচ্ছেদ করা হবে।
উচ্ছেদাভিযান পরিচালনাকারী দায়িত্বরত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আরডিসি মোঃ মুসফিকুর রহমান বলেন, সড়ক ও জনপদের নিজস্ব জমি অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল। দখল মুক্ত করার জন্য আমি নিযুক্ত হয়ে উচ্ছেদাভিযান পরিচালনা করছি। অবৈধ দখল মুক্ত করে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে জমি বুঝিয়ে দিব। অভিযান পরিচালনা কালে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে নাই।