ছাত্রীকে গণধর্ষণখোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে ৪ বখাটে। শুক্রবার গভীর রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়নের বগাদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহীদুল ইসলাম বেপারী (২১) নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে চিকন্দী ফাড়ির পুলিশ। বাকীরা পলাতক রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পালং মডেল থানা, ছাত্রীর মা সীমা বেগম ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বগাদী গ্রামে হারুণ-অর-রশীদের মেয়ে প্রতিদিনের ন্যায় লেখাপড়া শেষে রাত সাড়ে ৯ টায় তার চাচা নুরুজ্জামানের ঘরে ঘুমাতে যায়। ঐ রাতে একই এলাকার মনসুর বেপারীর ছেলে শহীদুল ইসলাম বেপারী ও তার সহযোগী ইয়াসিন খা, পাভেজ মুন্সি এবং ইকবাল হোসেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাত আনুমানিক ১ টায় হারুণ-অর-রশীদের ভাই নুরুজ্জামানের ঘরের ছিটকানী খুলে ভিতর ঢোকে।

তারা স্কুল ছাত্রীকে জোর করে মুখ বেঁধে বাড়ির উঠানের মাঁচায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গণধর্ষণ করে। স্কুল ছাত্রীর আত্ম চিৎকার শুনে স্বজনরা এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা দ্রুত পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ভাবে চিকন্দী ফাড়ির পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

শনিবার সকালে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে শহীদুল ইসলাম বেপারী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ধর্ষিতার বাবা হারুণ-অর-রশীদ মাদবর বলেন, আমার মেয়ে শুক্রবার রাতে পড়াশুনা শেষে আমার ভাইয়ের ঘরে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে আমার মেয়েকে মুনসুর বেপারী ছেলে শহীদুল ইসলাম বেপারী ও তার সহযোগী ইয়াসিন খা, পাভেজ মুন্সি, ইকবাল হোসেন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ঘর ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং গণধর্ষণ করে। আমরা তার ডাক চিৎকার শুনে ছুটে গেলে ধর্ষকরা তাকে বাড়ির পাশে কালাই ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, ৪ জন বখাটে এক স্কুল ছাত্রীকে ঘর থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। আমরা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনায় এক ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here