ষ্টাফ রিপোর্টার :: জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সম্ভাব্য বিজয়ী কয়েকজন প্রার্থীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ।

আর অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে সব আসনেই ঘোষণা করা হবে প্রার্থীর নাম। এছাড়া, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীক দলগুলোকে ৬৫ থেকে ৭০ টি আসন ছেড়ে দিতে চায় ক্ষমতাসীন দলটি। তবে শরীক দলগুলোর জন্য ১০০ টি আসন ছেড়ে দেয়া উচিত বলে মনে করেন ১৪ দলের নেতারা।
গত দুটি জাতীয় নির্বাচনের মতোই আগামী জাতীয় নির্বাচনেও শরীকদের সঙ্গে আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

এ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রচারণায় নেমেছে দলটি। প্রার্থী বাছাইয়ের ব্যাপারেও সতর্ক তারা। কেবলমাত্র জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। এছাড়া জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে জোটের শরীকদলগুলোকে ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেয়া হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ আশাবাদী। আমাদের সভাপতি প্রার্থীদের ডেকে বলে দেবেন কী করতে হবে। জোটের লোক বেশি জনপ্রিয় হলে ৬৫ থেকে ৭০ টি আসন ছেড়ে দেয়া হবে।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শরীক দলগুলো ৬০ টি আসনে প্রার্থীতা চাইলেও পেয়েছিল ১৮টি আসন। এবার তাদের দাবি ১০০টি আসন। শরীক সব দলই নির্বাচনের জন্য তাদের দলীয় প্রার্থীর তালিকাও চূড়ান্ত করে ফেলেছে।

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সহিংসতার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলের শরীকরাও রাজপথে তা প্রতিহত করবে বলে জানান এই নেতারা।

রাশেদ খান মেনন বলেন,আমরা যে সংখ্যক আসন চেয়েছি সে সংখ্যক আসন আমাদের পাওয়া উচিত।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার তা ভেবে দেখবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here