ঢাকা: দামে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে শনিবার থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
জানা গেছে, দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত থেকে ৩০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে টিসিবি। টিসিবি থেকে জানানো হয়, এসব পেঁয়াজ সারাদেশে নিয়োজিত ডিলার এবং ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সেলের মাধ্যমে বাজারে ছাড়া হবে।
বুধবার এক বৈঠকে পেঁয়াজের দাম কমানোর ঘোষণা দেন ব্যাবসায়ীরা। ওই বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি ও পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ছিলেন বলে জানা যায়।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীর বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাকসবজি ও মাছের দাম কিছুটা কমেছে।
তবে হরতালের কারণে ইলিশ ও চিংড়ির আমদানি না থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নতুন শাকসবজি আসায় দাম আরো কমবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর রাজবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচের দাম কমে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিমের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলার দাম কমে ৪০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, আলুর দাম বেড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাল আলু ৩০ টাকা, মেটে আলু ৩০ টাকা, গাঁজর ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপের দাম কমে ১৫ টাকা, বরবটির ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটোর দাম কমে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কচুর লতি ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাচকলা হালি ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি পিস ফুল কপির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপির ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা ফালি, ডাটাশাক প্রতি আঁটি ১০ টাকা, মুলাশাক প্রতি আটি ১০ টাকা, শাপলা প্রতি আটি আট টাকা, পুঁইশাক প্রতি আটি ১৫ টাকা, কলমিশাক প্রতি আটি ১০, লাউশাক প্রতি আটি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লালশাক প্রতি আটি ১০ টাকা, পালংশাক প্রতি আটি ১০ টাকা, পানিকচু ২০ থেকে ২৫ টাকা, ঝালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে ইলিশ মাছের হালি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা, সরপুঁটি ১২০ টাকা, ঘাসকার্প ১৪০, কাতল মাছ ২০০ টাকা, রুই মাছ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, নলা ১৫০ টাকা, কার্ফু ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, পাঁঙ্গাস ১২০ টাকা, চাপিলা ১২০ টাকা, চিংড়ি বড় ৬০০ টাকা, চিংড়ি ছোট ২৬০ টাকা, বোয়াল ৩০০ টাকা, মাগুর মাছ ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৩০০, কৈ মাছ ১৫০ টাকা, টাকি ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১০০ টাকা, কাচকি মাছ ২০০ টাকা, মলা ২৬০ টাকা, ফালি মাছ ৩০০ টাকা, চাপাতি ২২০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, কাইকা ৩৫০ কেজি, টেংরা মাছ ২৫০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আকার অনুযায়ী প্রতিটি দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। গরুর মাংস ২৮০ টাকা, আবার কোথাও ৩০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, চায়না বড় রসুন ৭০ টাকা, দেশী রসুন ৮০ টাকা, আদা ১৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ১৬০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা, ধনিয়া ৬৫ টাকা, আটা (প্যাকেট) ৩৯ টাকা, ময়দা (প্যাকেট) ৪৯ টাকা, দারুচিনি ২৮০ টাকা, এলাচি এক হাজার ৩০০ টাকা, জিরা ৪৫০ টাকা, বেশন ৯০ টাকা, দেশী মশুর ডাল ১১০ টাকা, ভারতীয় মশুর ডাল ৭৬ টাকা, খেসারি ডাল ৪৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোলা ৪৮ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা, বুট ৬০ টাকা, চিনি ৪৫ টাকা ও প্রতি লিটার সয়াবিন খোলা ১১৬ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১৩০ টাকা, পাম সুপার ৮৫ টাকা লিটার হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে প্রতিকেজি নাজিরশাইলর দাম বেড়ে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেটের দাম বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, লতা আটাশ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, মোটা চাল ৪০ টাকায়, জিরা নাজির ৫৪ টাকা,স্বর্ণা ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, আটাশ ৪০ টাকা, পাইজাম ৩৮ টাকা,কাটারিভোগ ৭৫ টাকা, চিনি গুঁড়া ১১০ টাকা, পারিজা ৩৮ টাকা, বিআর-২৮ ৪০ থেকে ৪২ টাকা, বিআর-২৯ ৪০ টাকা, হাসকি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিহালি মুরগির লাল ডিম ২৮ ও সাদা ডিম ৩২ টাকা, দেশী হাঁসের ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৪০ টাকা, দেশী মুরগির ডিম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।