ঢাকা: শনিবার থেকে সারা দেশে শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে। এক লাখ ৩০ হাজার টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা খাওয়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
২১তম জাতীয় টিকা দিবসের এ দিনটিতে শূন্য থেকে পাঁচ বছরের সব শিশুই পাবে দুই ফোঁটা করে পোলিও টিকা।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যসচিব জানান, ২৫ ডিসেম্বর বাদে ২২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকা খাওয়ানো কার্যক্রম চলবে। নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র ছাড়াও ভ্রমণরত ও ভাসমান শিশুদের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও লঞ্চ টার্মিনালসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে। সারা দেশে ৬০ হাজার স্বাস্থ্য ও মাঠকর্মীর সঙ্গে ছয় লাখ স্বেচ্ছাসেবীও কাজ করবেন।
একটি শিশুও যেন টিকাদান কর্মসূচি থেকে বাদ না যায় সেজন্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব জানান, বিশ্বের আটটি দেশে এখনো পোলিও রোগী রয়েছে। আফগানিস্তান ও নাইজেরিয়া এখনো পোলিওমুক্ত হতে পারেনি। বাংলাদেশ এশীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পোলিওমুক্ত আছে। কিন্তু পোলিও নির্মূল সনদপত্র আমরা এখনো পাইনি। কারণ এ সনদ অঞ্চল ভিত্তিতে দেওয়া হয়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তিন বছর ধরে পোলিওমুক্ত আছে।
বাংলাদেশ ও এর আশপাশের অঞ্চলের দেশগুলোতে এমন অবস্থা থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ পোলিও নির্মূল সনদ পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যসচিব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে সব ধরনের টিকা জাতিসংঘের ইউনিসেফ থেকে আন্তর্জাতিক নিলামের মাধ্যমে আসে। এর মান নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ কে এম আমির হোসেন ও মন্ত্রণালয় এবং এই দুই অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সহযোগী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফের প্রতিনিধি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও।