মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :: মুখ চেপে ধরে দুই হাত ও পা ওড়না দিয়ে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীর থেঁতলে দেয় গৃহবধু এ্যানি আক্তারের (২৪)। চুল ধরে ঘরের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত টেনে নেয়ায় উঠে যায় মুঠো মুঠো মাথার চুল। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী এ নির্যাতণে গৃহবধু জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে যায় পাষন্ড দেবর সাইদুল মুন্সী, তার স্ত্রী ছোয়া ও চাচাতো ননদ রাবেয়া।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পৌর শহরের নাচনাপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় রাস্তা থেকে চলাচল করা পথচারীরা গৃহবধুর গোঙ্গানীর শব্দ ও ঘরের বেড়ার টিনে আঘাতের শব্দ শুনে ঘরে ঢুকে তাকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এ্যানি আক্তার জানায়, ঘরের উঠানে রান্না করার জন্য প্রায় চারদিন ধরে একটি চুলা তৈরি করেন। মঙ্গলবার সন্ধার দিকে সে প্রতিবেশীদের বাসায় ঘুরতে যাওয়ায় তার চুলাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। সন্ধার পর চুলা ভাঙ্গা দেখে তিঁনি গালাগাল করলে তার দেবরের স্ত্রী ও দেবর তাঁকে গালাগাল করতে নিষেধ করে এবং এক পর্যায়ে মারতে তেড়ে আসে। বিষয়টি তার স্বামী রাজমিস্ত্রী শ্রমিক কাওসার হোসেনকে জানালে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে তার স্বামী বাজারে ঘুরতে গেলে এই সুযোগে ঘরের দড়জা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তার উপর এ নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।

গৃহবধুর জাঁ ফাতেমা বেগম ও সুমী জানায়, এ্যানির উপর নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘরে এসে তাকে অচেতন দেখতে পান। তখনও তার দুই পা ও হাত বাঁধা ছিলো। ঘরের মেঝেতে ছড়ানো ছিটানো ছিলো মাথার চুল। সারা শরীরে রডের আঘাতে কালচে দাগ পড়ে পড়ে গেছে এ্যানির। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে বলে গৃহবধুর স্বামী কাওসার হোসেন জানান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here