জুঁই জেসমিন

জুঁই জেসমিন :: প্রকৃত পক্ষে সাহিত্য কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে? বড় বড় মনীষীদের লেখা  গ্রন্থ ফুটপাতে ধুলোবালিতে সস্তা দরে বিক্রি হয় তাও আবার কেজিতে। তবে তা দুচোখ বুলিয়ে পড়ার জন্য নয়, বেশির ভাগই বাদাম বা পন্যের পুরিয়ার জন্য। নীলক্ষেত, শাহবাগ থেকে বইমেলা পর্যন্ত  গেলেই বেশ অনুমান করা যায়, খাঁটি সাহিত্যের অবস্থান আজ কোথায়?

সাহিত্যে কী পাঠকের মনের খোরাক আছে,  নাকি সাহিত্য এখন বেশ চাকচিক্য মোড়কে  ঘরের শো-পিস মাত্র? বই মেলায় বই কেনাটা বেশিরভাগ মানুষের একরকম ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির যুগে জ্ঞানপীপাসুর  মতো পাঠক হওয়ার যেন কারও সময় নেই। তবে হ্যাঁ, ঘরে বড় বই লাইব্রেরী রাখাটা আর থাকাটা একরকম আধুনিক শখও অনেকের ক্ষেত্রে।

জাতীয় বই মেলা থেকে শুরু করে সব জেলার বই মেলা গুলোতে  দেখুনতো  স্টল গুলোতে, নামি-দামি সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক,ভাষাবিদ, উপন্যাসিক-যেমন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আহসান হাবিব,  বঙ্গিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বা শরত বাবুর কোনো বই পান নাকি?

পেতে পারেন তবে অনেক ঘুরাঘুরির পর।কারণ পাঠক না থাকলেও কবি নামে লেখকের ভিড় তুমুল বেড়েই চলছে, লেখা সাহিত্যের মধ্যে পড়ুক বা নাইবা পড়ুক। মেলায় একাধিক বই বের হয়েছে এই বিশাল। এমন  নতুন লেখকের বইয়ের ভিড়ে মহা কবি সাহিত্যিকদের বই চাপা পড়ে থাকছে।

জীবন সুন্দর স্বপ্নিল করতে জীবনকে মনের মাধুরিতে রাঙাতে সবচেয়ে প্রয়োজন সাহিত্যের নির্যাস। মানুষের জীবনে প্রকৃত সৌন্দর্যই হলো সাহিত্য। একজন নারী পুরুষ যতই ধনবান হোকনা কেন, যতই পোষাক পরিচ্ছেদ ভাল পরিধান করুকনা কেন, যতই গহনা পরে সৌন্দর্য ছড়াকনা কেন, সুন্দর ভাবে কথা বলতে না পারলে তার মধ্যে কোনো সৌন্দর্য থাকতে পারেনা!

রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের যুগে খুব বেশি কবি সাহিত্যিক না থাকলেও খাঁটি সাহিত্য ছিলো সংস্কৃত চর্চার মাধ্যমে।
আর বর্তমান যুগে আনাচে কানাচে লেখকের ভিড়, কবি কবি লেবাসে।

সাহিত্য আছে তবে সাহিত্যের চর্চা কে কতটুকু করি আমরা  ? যদি সাহিত্যের প্রকৃত চর্চা যথাযথ হয়েই থাকে তবে প্রথম শ্রেণির বেশিরভাগ কর্মকর্তা সহ উচ্চ ডিগ্রি ধারী বিশেষ কোনো সভা বা অনুষ্ঠানে  বক্তব্যে  ভুলভাল উচ্চারণ আর আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারে, বত্রিশটা দাঁত কাঁপান কেন? আজ আঞ্চলিকতা ছড়িয়ে পড়েছে গল্পে নাটকে শিক্ষা সংস্কৃতিতে। প্রজন্ম হতে প্রজন্ম যে, ভুলটাই লালন করবে সঠিক ভেবে এর কোনো সন্দেহ আছে কি? নেই!  ভাষা যদি হয় রূপকার তবে সাহিত্য অবশ্যই জীবনের অলংকার।

জীবনে যে যার পছন্দ মতো স্বপ্নের নাটাই ঘুরিয়ে খেলোয়াড় হতে চায়ই, কিন্তু শব্দের খেলোয়াড় হওয়ার কথা ক’জন ভাবি?
যে শব্দের খেলা খেলতে খেলতে শব্দের গাঁথুনিতে সাহিত্য জগত হেসে ওঠবে সজীবতায়? সাহিত্য চর্চা না করে ভাষার সঠিক ব্যবহার না জেনে সাহিত্যিক বা কবি হওয়ার প্রবণতা এখন সকল শ্রেণির মানুষের। ভাষা সৃষ্টি ও তার ব্যবহারের পর থেকেই পৃথিবীর সবাই ঠিক এই টুকু জানে, যে লেখে সেই লেখক। কিন্তু এই সাহিত্য জগতে এখন যেই লেখে সেই কবি। আর আবোল- তাবোল যে যাই লেখুকনা কেন বিশেষ কৌশলে বিশেষ ক্ষমতায় ক্রেস্ট সম্মাননা, সনদ পেয়ে থাকে গাদি গাদি।
একটা অপ্রকাশ্য বিষয় যা না বললেই নয়-

দেশের সুনামধন্য কবি সাহিত্যিকদের আজ অনুষ্ঠানের মধ্য মনি বানিয়ে তুমুল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক সাহিত্য সংগঠক, আয়োজকেরা। একটি গ্রন্থের ওপর ডজন ডজন সম্মাননা পাচ্ছেন অনেক লেখক। যে বইয়ের ওপর এতো সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে বা হয় সে বই বিচারকেরা কেউই চোখে দেখেন কি? দেখেন না। বইয়ে কী কী মেসেজ আছে সাহিত্যের কতটুকু নির্যাস আছে এসব বিচার বিবেচনা না করেই তুলে দেওয়া হচ্ছে গ্রন্থের জন্য পদক, ক্রেস্ট। আর লেখকের কাছে নেওয়া হচ্ছে গোপন আলাপনে মিষ্টভাষায় অর্থ।

এই অবস্থা  সাহিত্য জগতের। যে সত্যিকার অর্থে ভালো লেখে এমনো অনেক লেখক আছেন যাদের অর্থের অভাবে গ্রন্থ প্রকাশ হচ্ছেনা।

জগত কি  তবে গণতান্ত্রিক সুখের কথা ভাবে?  নাকি জগত মঞ্চে মানুষ ব্যক্তি স্বার্থের দৌড়ে গণতান্ত্রিক সুখ খর্ব করে ক্ষমতা বাবু হয়ে মোহড়া দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়, কোনটি?

পত্রিকা পড়ার সময় নেই, খবর শোনার সময় নেই, বই পড়ার সময় নেই, বেশির ভাগ মানুষের।

তারপরও সাহিত্য নিয়ে চলে তুমুল ইলিশ পেঁয়াজের  মতো ব্যবসা। ঠাসা ঠাসা সংগঠন, আর ভাসা ভাসা সংগঠক। কবি সংগঠন,  লেখক সংগঠন, সাহিত্য সংগঠন। সবচেয়ে মজার ও হাস্যকর ব্যাপার হলো দু চারকলম যে যা লেখে বই প্রকাশ করে, তাকেই কবি হিসেবে সম্বোধন করা হচ্ছে। আর ক্রেস্ট সম্মাননা,  সনদেও লেখা হচ্ছে কবি অমুককে সম্মাননা স্মারক প্রদান। এখন প্রশ্ন অকবিরাও যদি কবি হয়ে থাকে তবে প্রকৃত ও ভাল মানের লেখককে কোন বিশেষ সাহিত্য  শব্দে সম্বোধন করা হবে, কোন অক্ষরের গাঁথুনিতে পদক বা সম্মাননা দেওয়া হবে?  নিজে নিজেই অনেক লেখক  নামের আগে কবি উপাধিটা বসিয়ে দিচ্ছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে বেশ দৃশ্যমান।

জাতীয় বোর্ড বইগুলোর অবস্থা নিয়ে আলোচনা টানলে সমালোচনার শুরু শেষ ঘুরপাক খাবে। সাহিত্য দিন দিন কোথায় তলিয়ে যাচ্ছে, একটু জাগ্রত হওয়া দরকার। বিবেক, মনুষ্য, ব্যক্তিত্ব, এসব তৈরি করার মূল অস্ত্র তো সাহিত্য। যার মাঝে সাহিত্য সংস্কৃতির ছোঁয়া নেই, সে চিরকাল অমানবিক হিসেবেই সমাজে বিশৃঙ্খলার অশুভ বীজ বুনন করতে থাকবে।

সাহিত্যের লালন নেই চর্চা নেই, তাইতো একে অপরের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা দিন দিন হালকা বা ফিকে হয়ে  যাচ্ছে।
আজকের ছেলে মেয়েরা ক’জন আর্টিস্ট এর নাম বলতে পারবে? কে দেশের জনপ্রিয় আবৃত্তি শিল্পী,  কে রবীন্দ্র সংগীত
শিল্পী বা কে, কারা  ভাষা সাহিত্যিক?  চোখ ও হৃদয় ভারতীয় পর্দায়, দেশের খবর রাখা এ এক প্রকার কষ্ট কাঠিন্য রোগ।

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট, বাংলার সোনার ছেলেরা ভারতকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, অথচ বাংলার কত সংখ্যক ঘরে বিজয়ের পতাকা উড়িয়েছি মহা উল্লাসে? আনন্দ উল্লাস আর বিজয়ের পতাকা উড়ানো তো দূরের কথা,  বাংলার বিশকোটি মানুষের মধ্যে  বারো কোটি মা বোন পরিবারেই জানেনা হয়তো, বাংলার ছেলেরা বিশ্বের বিস্ময় ঘটিয়ে  বিজয় লাভ করেছে। আজ সাহিত্য জগত ব্যবসায় পরিণত, বড় অসুস্থ, বড় আগাছা সাহিত্য অধ্যায়।

প্রকাশক কী সবাই হতে পারে? পারেনা।
যারা সাহিত্য বুঝে এবং প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে যথাযথ  ধারণা আছে তারাই প্রকাশক হওয়ার যোগ্য। সাহিত্য কী?  কাকে বলে যারা এর সংগা জানেনা তারা কখনোই প্রকাশক হতে পারেনা অর্থের জোরে। একজন প্রকাশকের প্রথমত কাজ লেখকের পান্ডুলিপি  আগে  নিজে সুস্থ মস্তিষ্কে পাঠ করা। লেখাটা কী ধরণের, পাঠকের জন্য শেখনীয় কিছু আছে কি না, কী কী বার্তা বয়ে নিয়ে আসতে পারে, পাঠক বইটি পড়ে মুগ্ধ হবে কি না, ভাষা ঠিক আছে কি না, সব মিলিয়ে প্রকাশক ভেবে বলবেন এটা প্রকাশ করা যাবে কি না? এছাড়া একজন লেখকের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বই প্রকাশ করা এটা আদর্শ প্রকাশকের ধর্ম হতে পারেনা। সর্বদাই মাথায় রাখা উচিৎ লেখকের লেখা মানসম্পন্ন কি না?

এখন দেখা যায় সাহিত্যের হাটে বেশ কিছু  সাধারণ ব্যবসায়িক প্রকাশক সেজে মাতব্বরি করে। পাণ্ডলিপির এপিঠওপিঠ প্রতিটি পাতা না পড়ে বই তৈরি করে ইচ্ছে মতো।

আর প্রচ্ছদের ক্ষেত্রেও অনেক সময় অনেক প্রকাশক  জাতীয় প্রচ্ছদ শিল্পীর নাম বসিয়ে তুমুল ব্যবসা চালিয়ে যায় এবং কী নিজের খেয়াল খুশিমত অনেক প্রকাশক  নিজেই প্রচ্ছদ করে থাকে-আর  লেখকের কাছে প্রচ্ছদের জন্য বেশ অর্থ ধরে বসে। এ যুগে যেমন লেখক, তেমন প্রকাশক, আকাল শুধু পাঠকের।

এবার আসি যৌথ গ্রন্থ ব্যাপারে, প্রতিটি সংগঠন কি শুধু সাহিত্যের প্লাটফর্ম চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে সংগঠন করে? করেনা। বেশিরভাগই অর্থ লাভের ধান্ধায় সংগঠন তৈরি করে।  কিছু কিছু নামি-দামি জাতীয় কবির লেখা থাকবে এবারের যৌথ গ্রন্থে, এসব শুনিয়ে হাজারো সাধারণ লেখকের কাছে একটা কবিতা বা একটা গল্পের জন্য হাজারো অর্থ হাতিয়ে নেয়।

ছয় বা সাত ফর্মার একটি বই প্রকাশ করতে লাগে ত্রিশ বা চল্লিশ হাজারের মতো কিংবা আরও কম। কিন্তু যৌথ কাব্যের জন্য টাকা আসে মিনিমাম দেড় হতে দু লক্ষ কিংবা আরও বেশি- এই হলো সাহিত্য হাটে জমজমাট ব্যবসা। ডেস্টিনির মতো চলে এখন সাহিত্য জগতে অর্থের  ছক্কা দৌড় একরত্ন স্বপ্ন ধরে। ডেস্টিনিতে যেমন স্বপ্ন দেখায় ডায়মন্ড হওয়ার, তেমনি সাহিত্য সংগঠন গুলোতে শুরুতেই কবি সনদ পদক ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে  হাতে গলায়। যাদের দেওয়া হচ্ছে কবি সম্বোধনে সম্মাননা, কতজন বলতে পারবে সাহিত্য কী এবং তার সংগা, কবিতা কাকে বলে?  গল্প কাকে বলে? কিংবা তাদের লেখার মান কেমন কতটুকু তা না জেনেই জমজমাট আয়োজন। সাহিত্য আসর নয়, যেন পিকনিক তথা বনভোজন শালা।

আবার সনদ গুলো যা দেওয়া হয় তা নিজ নিজ নাম বাড়িতে এসে নিজের নাম নিজেই লেখতে হয় অমুক কবি তমুক কবি হিসেবে।
সত্যিকার অর্থে যারা ভালো লেখে তাদের খুঁজে পাওয়া বা বুঝা মুশকিল, ঢাকা শহরের সড়ক জ্যামের মতো লেখক ও লেখা, লেখকের বই – ভেজাল নির্ভেজাল দুধে জলে মিশ্রিত, পাকাপোক্ত খাঁটি পাঠক না হওয়া অবধি চিহ্নিত করা যেন কঠিন, কে বা কারা খাঁটি লেখক।
জীবনকে ছন্দিত করতে অর্থ লাগেনা,  লাগে সাহিত্য।  আর সে সাহিত্য হারিয়ে যাচ্ছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আজ বাণিজ্য হাটে কিছু অসাধু লেখক প্রকাশকের উন্মাদনা ইশারায়, বেমানান ভুলভাল শব্দ খেলায়।

কবি ও কবিতা শব্দটা বেশ দূর্লভ।  অথচ সস্তার বাজারে যেন সবাই কবি সবাই কবিতা, তবে তা শুষ্ক নির্যাসহীন। কবিতায় হাসেনা প্রকৃতি, হাসেনা পর্দার আড়ালে বঞ্চিত নিপীড়িত জরাজীর্ণ  বাবা মা আর ওই পথকলিত শিশু,  নেই একটুকরো সুখের স্বপ্ন। যে কবিতা অন্যায় অত্যাচারী, ক্ষমতা বড়াই ব্যক্তিস্বার্থ মানুষের মস্তিষ্ক থেকে প্রস্ফুটিত হয়, সে কবিতা কতটুকু শুদ্ধতা দিতে পারে? কতটুকু কলুষ মুক্ত করতে পারে সমাজের?  কজন মলিন মুখে হাসি ফোটাতে পারে? পারেনা! কবিতা মানে তো জ্বলছে আগুন পুড়ছে বসতি, পুড়ছে রাজধানী,  চেয়ে চেয়ে কবিতা লেখা নয়।

আর কবি মানেও অসংখ্য বই প্রকাশ হয়েছে এমনটিও  নয়।  যে শব্দের ভারত্ব অনেক, সে শব্দ কেন ভাসে সস্তার প্রান্তরে? কে ভাববে আজ?  ভাবার সময় নেই – একুশে পদক এখন যোগাযোগ বাবুর ঘরে, ক্ষমতা বাবুর ঘরে ।  চিৎকার করে  কাদুক  খাঁটি লেখকের খাঁটি কবিতা,  ফাটুক ফুটুক বিশ্বের রকমারি ইতিহাস।  তেলাপোকার মতো উল্টে থাকুক  খাঁটি বাংলার সৃষ্টি সাহিত্য সংস্কৃতি। মুখ বুজে সয়ে যাক, চেয়ে থাক নীরব  শ্রেণির এরা ওরা।

তবে এ অনিয়ম রীতিনীতি কতদিন?  কলম দিয়ে কলম ভাঙ্গবে কারা, কবে?  যোগ্যরা পাবে যোগ্যতার আসন কবে?  আর কতকাল ? যদি ভালো কিছু চাই বা আশা করি প্রত্যেকে, তবে এখনি ভাবার সময়- প্রতিবাদ নয় দাবির উঠুক ঝড়, অভিজ্ঞ যোগ্যতা সম্পন্ন প্রকাশক হোক সীমিত,  যাচাই-বাছাই এর পর হোক লেখকের লেখা প্রকাশ।  পদক সনদ যাক প্রকৃত লেখকের ঘরে। জাতীয় বোর্ডবই গুলোতে স্থান পাক মান সম্পন্ন লেখা, থাকুক সেকালের কবি সেকালের লেখা,  সাহিত্যের হোক যথাযথ চর্চা। মানুষ শ্রেষ্ঠত্ব করুক অর্জন হোক সৃষ্টিশীল সাহিত্য লালনে।

শ্রদ্ধা সম্মান, দায়িত্ব, নীতিবোধ,  দেশপ্রেম, জীবোপ্রেম থাকুক অটুট সবার হৃদয়ে। স্বার্থে নয় কর্তব্যে, ভালোবাসায় একে অপরের পাশে থাকুকু ঠিক কবিতার ছন্দের মতো।গল্প হয়ে উঠুক এক একটি জীবন কৃতকর্মে, জয়ের মিছিলে মিছিলে। তবেই গড়ে উঠবে স্বচ্ছ সমাজ স্বচ্ছ মন। মনে রাখতে হবে বার বার, বারংবার সাহিত্য মানব সমাজের চির সৌন্দর্যের অলংকার।

লেখক: লেখক ও মানবাধিকার কর্মী
jui.jesmin2019@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here