সায়েম মাহামুদ :: চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরাস্থ অান্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের অাউটডোর ক্যাম্পাস থাকার অজুহাতে মাস চারেক অাগে কালো তালিকাভূক্ত করে ইউজিসি। এ নিয়ে ছাত্র থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশায় ভোগছিলেন। রেড মার্কের জন্য ছাত্রদের অান্দোলনে ক্যাম্পাস মধ্যখানে প্রায় মাস দু’য়েক বন্ধ ছিলো।
ইউজিসির সব শর্ত মেনে গত আগষ্ট মাসের ৬ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বাকি সব ক্যাম্পাস বন্ধ করে স্থায়ী ক্যাম্পাস কুমিরাতে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরণের ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু এরপরও বহু প্রতিক্ষিত সেই রেড মার্ক উঠার কোনো লক্ষণ ছিলোনা। এ নিয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র সবাই হতাশ ছিলেন।
কিন্তু ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অাকাশে যেনো ঈদের চাঁদ দেখা গেলো। দুপুরে যখন ছাত্ররা জানতে পারলো তাদের রেড মার্ক ইউজিসি তুলে নিয়েছে তখন ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা সবাই একে অন্যকে ধরে কোলাকোলি করতে থাকে। সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলায় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্ররা ক্যাম্পাসে অানন্দ মিছিল বের করে। এরপর একে অন্যকে মিষ্টি মুখ করিয়ে অানন্দ ভাগা-ভাগী করে।
অানন্দ মিছিল পরবর্তী মিষ্টি মুখ পর্বে ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভিসি ড. দেলওয়ার হোসেন, সহকারী প্রক্টর জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, সহকারী প্রক্টর নাজমুস সাকিব, হাদিস ডিপার্টমেন্টের সাবেক হেড ড. আবুল কালাম, শিক্ষক নুরুন্নবী সহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
রেড মার্ক সম্পর্কে ইইই ডিপার্টমেন্টের মোবারক করিম কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “অাজ থেকে অাবার স্বপ্ন বোনা শুরু করবো। এতোদিন হতাশায় ছিলাম বের হয়ে কি করবো সে চিন্তায়!”
কুরঅানিক সাইন্সের অাব্দুল্লাহ অাল ইমরানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “সর্ব প্রথম অাল্লাহর শুকরিয়া অাদায় করছি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিনন্দন জানাই তারা অামাদের জন্য বহু কষ্ট করে রেড মার্ক তুলার ব্যবস্থা করেছেন বলে।”
এছাড়া রের্ডমার্ক উঠে যাওয়ার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হবে না এমনটি জানিয়েছেন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের ডিন ফরিদ সোবহানী।।